বড় ধুলো জমে গেছে বহুল ব্যবহৃত এই পৃথিবীটাতে,
একটু হাওয়াতেই  আজ ওড়ে শুধু একরাশ ছাই আর ছাই ।
দেখতে পাইনা আর নিটোল ভালবাসা, ঠাকমা দিদিমার অনাবিল স্নেহ,
ভর দুপুরের নিস্তব্ধতা , মাসী পিসী দিদিমার পানের বাটা ঘিরে আড্ডা জমাট  
কিংবা গোল হয়ে বড়ি দেওয়া  - ছাদের কোণায়!
দেখতে পাইনা ওদের কাউকেই আর - ওড়ে শুধু ছাই আর ছাই।


পোড়া দুপুরের ঝাঁঝে, হাজারো জনতার চলা বাঁচার মিছিলে
নয়তো বা ঢলে পড়া বিকেলের আধো আলোছায়তে -
দেখি অগনিত ঘরে ফেরা ক্লান্ত অবসন্ন  নত মস্তকের সারি
কান পাতলেই শুনি ওদের হিজি বিজ বিজ করা -
গোমরানো শব্দের কিছু প্রতধ্বনি !
কত মানুষ, অথচ সবাই কত একা!
একটু জল ঝড় বৃষ্টিতেই চারিদিকে কাদা ,
আশপাশে গজিয়ে ওঠে দেখি কিছু আগাছা পরগাছা - নেতা আর দাদা।
আসেনা শ্রদ্ধা দেখে, হয়নাতো মাথা অবনত !!
তবে ওদের ব্যবহারে হুমকিতে নিতান্ত অনিচ্ছাতে
ঝুঁকে থাকি করে মাথা নত।


আজানও শুনি,
সাঁজ সকালে শুনতে পাই শঙ্খঘন্টা ধ্বনি
তবে সবই কেমন টবে গজানো ফুলের মতন কিংবা বনসাই
হৃদয়ের গভীরে কেন পাইনা সাড়া ?
কেন অধিকাংশ দেহে মনে মুখের জলছবিতে নেই আর সরলতা আঁকা ?
হায়রে সভ্যতা – দিয়েছ নিশ্চই কিছু গতি, প্রগতি উন্নতি
বিনিময়ে নিলে যে কেড়ে - সুকোমল মন আর স্বাভাবিকতা
সাজিয়ে রেখেছ কিছু মিথ্যার বেসাতি।


বড় ধুলো জমে গেছে বহুল ব্যবহৃত এই পৃথিবীটাতে,
একটু হাওয়াতেই আজ ওড়ে শুধু একরাশ ছাই আর ছাই ।
------------------------------
অমিতাভ (৩.৬.২০১৬)