-শরৎ নাকি? কী ব্যপার এই সাত সকালে এলে দ্বারে?
সূয্যি দেখ উঠছে পূবে, এস বন্ধু বসনা এসে পাশে।
-শরৎ হেসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললে হেসে,
বন্ধু আমার গায়েও লেগেছে বুঝি শুকনো খড়ি শীতের,
দেখনা হাসছি কেমন দেঁতো হাসি ভেতরে যে দুর্গন্ধ বাসি,
অপুরা আর দৌড়োয়না কাশের বনে বনে।


দিন কাল তারিখ ধরে যদিও আমি আসি আজও
কেলেন্ডারের দাগ দেওয়া সব সঠিক তারিখে,
তবে সোনালী সেদিনগুলোর মত -
মনের কোণে দাগ কাটা আর হয়না জনমনে ।


বড় সাদামাটা হয়ে গেছি ধুসর তোমার চুলের মত,
রসকষহীন উষ্কো খুষ্কো আমিও হয়েছি আজ কাগুজে গোলাপ !!
আনন্দ উচ্ছাসগুলো আজ রেশনে মাপা চাল গমের মত ।
অশ্রু সজল শত  সহস্রের  আর্তি আবেদনে,
ওদের আকাশপানে ছুড়ে ধরা উদ্বাহু সব হাতের কোলাহলে -
মৃন্ময়ী আদপেই কি হয় সে  চিন্ময়ী ?


- আজ তাহলে উঠি ভায়া,
দেখ তবে তোমরা সবাই কতখানি আমাকে নিয়ে থাকতে পার মেতে,
যা কিছু এনেছি দেখ যৎসামান্য শিউলি কাশ আর পেঁজা তুলো সাথে ।
যতক্ষন এ’দেহে শ্বাস ততক্ষন রেখেছ আশ জানি,
তোমরা যে তা রেখেছ ধরে আজও মনেপ্রাণে - বিলক্ষন জানি,
অনুমাতি দাও - তবে আসি ?
------------------------------------
অমিতাভ (২.১০.২০১৬)