ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, "নারীর একটাই জাত, মা"! আবার গুরুদেবের কথায়, "একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার মধ্যে যখন মা-এর আভাস পায়, তখন আসে ভালোবাসা"। কিন্তু আজকের খবরের কাগজ থেকে রবীন্দ্রনাথের "স্ত্রীর পত্র", সবখানেই নারী-পরাধীনতার ছবিটাই ফুটে ওঠে। "স্ত্রীর পত্র" উল্লেখ করার কারন, যে নারীর কথা সেখানে বলা হয়েছে, সে বর্তমান সমাজের চিন্তাধারা থেকে কয়েকশো বছর এগিয়ে, কয়েকশো বছরের আধুনিক। কিন্তু আধুনিকতার যতগুলোই মাইলস্টোন আমরা পার হই না কেনও, সমাজের বুক থেকে এই যন্ত্রনা যাওয়ার নয়। তাই হয়তো অনেকে এই পরাধীনতাকে স্বভাবে পরিনত করে ফেলেছে, একটুতেই সহানুভূতি খোঁজে। তবে এমনও অনেকে আছে যারা সত্যিই আদিশক্তির প্রতিরুপ। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, বীর সুভাষ এদের প্রানশক্তি, অনুপ্রেরণা।


পৃথিবীর প্রতিটি নারীই কারো না কারোর প্রানশক্তি, অনুপ্রেরণা। পৃথিবীর সমস্ত নারীকে উৎসর্গ করে লেখা কবিতা "মা"--


কাছে থেকে দেখেছি তোমায়,
দুরে গিয়ে আমি পেয়েছি।
ভিড়ের মাঝে আমি শুনেছি তোমায়,
একলা-মনে গান গেয়েছি।


গোধুলির ঐ রঙে রেঙে, দিন যখন যায় ঢলে,
সূর্য দেখার ছলে, আমি রাত্রি জেগেছি।
তোমার ঐ রাঙা চরণ তলে মা গো,
মরণে জীবন পেয়েছি।


শ্রাবণের ঐ অঝোর ধারায়, যখন ধুয়ে মুছে সব সাফ,
দু-চোখের ঐ কালির টানে, আমি মেঘের কালি মেখেছি।
তোমার ঐ হাসির মাঝে মা গো,
অস্তিত্ব আমার পেয়েছি।


নয়ণ-ভরে দেখেছি তোমায়,
প্রাণ-ভরে এবার পেয়েছি।
ভিড়ের মাঝে আমি শুনেছি তোমায় মা গো,
একলা-মনে গান গেয়েছি।