বললো কেউ,লিখতে জানো?
বললাম আমি, লিখছি আমি ছোট্টবেলা থেকে
হাতে খড়ি রঙ পেন্সিলে নিজের ছঁবি একে ।
তারপরেতে একটু বড়, হলাম যখন আমি
রূপকথারি দেশে পক্ষীরাজে নামি ।
কৈশোরেতে রেখে পা, বড্ড তেজ আমার
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে, নেই অবকাশ থামার ।
প্রেম নিয়ে এলো যখন যৌবনের ঘাটে
নানান রঙের ফেরী করি স্বপ্নপুরী হাটে ।
ঘুরতে ঘুরতে ফেরিওয়ালা প্রেম সওদাঁ করে
একশ এক পদ্য লিখি প্রেয়সীর তরে ।
নীলরঙে প্রেয়সীর ভীষন অভিমান
লালরঙে খুঁজে বেড়াই ভালবাসার টান ।
বললো সে, তারপরেতে  কি হলো?
অচীনপুড়ের ঝড়ের খেলায় সবি এলোমেলো ।
এতো মায়া, এতো কায়া কোন দেশেতে যায়?
কলম ছেড়ে ফেরিওয়ালা তাই নিজেতে লুকায় ।
লিখবো না আর,গাইবো না গান,সবই মিছে খেলা
এমনি করেই পার হোক বাকী শেষ বেলা ।
রেগে গিয়ে বললো সে, ওসব চিন্তা ছাড়ো
লিখো দেখি এক পদ্য, যদি এক দমেতে পারো ।
সেই থেকে লিখছি আবার পদ্য জীবনখানা
হারালেই হার হয় না,
ভালবাসতে পারাতেই তা জানা ।।