আজকাল কবির বিলাসিতা বয়েই গেছে,
ইদানিং উৎসবরাও ততটা অর্থবহ নয়,
তাই কি ! কবির বিষাক্ত গোঁরামী-ই সময়ক্ষয়।
তাই কি কবিকে এখন কোত্থাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল,
যেখানে শুভ্রমেঘের সাথে নদের মিতালী কিংবা স্নিগ্ধ গাঙচিল।
যেখানে মেলা বসে গাড় রঙয়ের,ফাগুনী বসন্ত বটতলে,
যেখানে মাছরাঙার তীব্র দৃষ্টি ছোট্ট পুঁটিটায়, ওই দিঘীরজলে।
যেখানে আধমাসি পূর্ণিমার চাঁদটা বেহায়ার মত হয়েছে উলঙ্গ,
যেখানে সেইকাল হতেই ছেঁড়া বসন ছলছলে চোখে, ভিখারিনীটাও নিঃসঙ্গ।
যেখানে দুষ্টু বালিকাটি প্রেয়সীসাজে আওরাতেই থাকে সদ্যশেখা আবেগী কাব্য,
যেখানে তীক্ষ্ণ মেধার ঝলকানী আর যুক্তির আঁচড়ে সব মানুষগুলো সভ্য।
যেখানে দারাজ কণ্ঠে প্রতিশ্রুতির জন্ম হয় কালোঠোঁটের সভা বসে,
যেখানে রাজনীতি রচনা হয় শিল্প নামে, হাতুরীর আঘাত সেনি হয়ে তক্তপোশে।
যেখানে প্রতিটি স্বপ্ন হাতছানি দেয় আকাঙ্খা সুদহারে বেড়েই চলে,
যেখানে স্বার্থ গিলে খায় শকুনের মত, তবুও ভেবে ভেবেই সন্ধ্যেই পরে ঢলে।
আচমকা জিজ্ঞাসুর আবেগী কাব্যরূপ প্রলাপ স্তিমিত,
অশ্বথের পাশের কুঁয়োটা থেকে মৃদু স্বরের কবিকণ্ঠ ভেসে আসে,
উৎসুক আগন্তুককে ধরা দেয় কবি,আটকে যাওয়া কুনোব্যাঙ যেন সর্পপাশে।
অতঃপর কবি স্পষ্ট ঢোক গিলে নির্বাসন কাব্য ফলায়।