রোজ নুনছেটা টেবিলটায় স্বপ্ন গাঁথা থাকে বলে তুই আছিস
বুক চেরা ফাটল রেখা বরাবর প্রতি দীর্ঘশ্বাসেই বাঁচিস।
ঝাপসা চোখে গড়ানো জল কপোলেই শুকিয়ে ম্লান,
তবুও হাওয়ারা ঘুরে ফিরেই পাঠায় তোর চিবুকের ঘ্রাণ।
কখনও এ শহরের কোলাহলে আমি বড্ড তরপাই
উদ্ভট জঞ্জালগুলো দুমরে মুচড়ে এক ছুট্টে যেতে চাই।
আমি যেতে চাই তোর ঠিকানায়,ছুঁতে চাই উঠোনের মোঠোঘাস
সংসার বড় নিরস বিভীষিকা,নিয়তির হাতে শত উপহাস;
হলো না সাধারণ কামরারও একটা টিকিট কাটা,
হলো না বুঝি এবারের মত শেষ ট্রেনে ঘরে ফেরা।
সিগারেট হাতে হাঁটতে থাকি,পথগুলো ক্রমশ দূরে সরে যায়,
তখন বস্তির বেনামি বালকের অস্তিত্ব আমায় আশা জাগায়।
সে পথটাতে দেখি খোলা রোদ্দুরও আমার নয়
আঁধারেই বেশ আছি,আলোহীনতায় করেনি ভয়।
আজকাল প্রায়ই ঘরের নতুন মলাটে,ধুলোরা নির্বাচন করে,
ওদের প্রধানমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে;
অথচ আজো আমি অবিশ্রান্ত অহোরাত্রি তোর কবিতা পড়ি,
আজো আমি সোনালী উষায় বাঁচি,তোর শেষ বাণীতে গড়ি।