দিবস মানি না,অতশত প্রহরের খোঁজ রাখিনি
গড়মিল ঘটে যায় সব হিসেব সমীকরণে;
দশ-ই ফেব্রুয়ারী ছুঁড়ে ফেলেছি বিগত ক্যালেন্ডারে
আমি হয়ত জন্মেছিলাম, রাখতে হয়নি স্বরণে।
এতটাও উৎসব উপচে পড়েনি কেবল সময়টা আমার
উদ্ভটদের আলোকসজ্জা চোখে সরষে দেখায়;
কি এসে যায় আপনদৃষ্টিকোণে,নির্ধারক বিধাতায়
মনদুয়ার খুলেছি কারুর শুভক্ষণে,বড় আকুলতায়।
তৃষ্ণাতুরতার বাইরে উচ্ছিষ্ট নই,কামনা সকল শুভের
বসন্তের লালচে কৃষ্ণচূড়া ফুটুক তার পুরো অবয়বে;
সূর্যস্নাত আভা একান্তই ছড়িয়ে পরুক তার আকাশে
হাওয়ারা মাতাল হয়ো না, আলতো স্পর্শতেই হবে।
প্রকৃতিকে বলি খেয়াল রেখ,সজীব কুঁড়ির সাক্ষী হয়ে
তিক্ত স্মৃতিরা আঁড়াল হয়ে সম্মুখরোধী সেজনা যেন
আবেগ তুমি এসো না আদৌ যদি সে ক্লান্তআচ্ছন্ন হয়
সিদ্ধান্ত হীরে হয়ে পর্বতের ন্যায় সফলতা এনো।
হিমবাহ হয়ে গলতে যেও না আধটু তীর্যক রোদে
বন্ধুর তুমি পথের কাঁটা নাহয়ে চলতে শিখাও;
তৃপ্ত হোক তার নব্য আগামী স্বীয় বহ্নিমান ধারায়
কলুষ তিমির চলে যাও না ফেরায়, আরও দূরে যাও।
সৃষ্টি উৎভাসিত হও তার উচ্ছাস লেলিয়ে পর আলোয়
গহীনতা নয় ব্যপ্ততায় উপচে পড়ুক তার তৃপ্ত আগুন;
কামনা কামনায় নয় পূর্ণতায় শোভার বারান্দায়
স্নিগ্ধ-সিক্ততায় ফিরে আয়,ফিরে আসুক ফিরে আসুক দিগন্তজোড়া তার আঠারো ফাগুন।।