আমি সমুদ্রের কথা লিখতে চাই
সমুদ্রে ভাসছে মানুষ, নৌকা বোঝাই
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায়,
আমি থেমে যাই
কোলাহল পানে দৃষ্টি ফেরাই।
বাতাস আমাদের ধোঁয়াময় ধুলিময়
বেঁচে থাকার জন্যে এখানেই আশ্রয়,
এখানেই
ভেঙে পড়া দালানের নীচে শ্রমিকের গণকবর,
এখানেই শ্রমিকের পোড়া দেহ টেনে নিচ্ছি দিনভর
কালো হচ্ছে আমাদের ফুসফুস
মরে যাচ্ছে হৃদয়ের সব হুঁশ।
আমি শহরের কথা লিখতে চাই
মাসের পর মাস, বছরের পর বছর
খোঁড়া খুড়িতে ব্যস্ত এক খনি শহর।
কত দূর গ্রাম থেকে আসে শ্রমিকের দল
খনি শহরের খনিজ হয়তো করবে বদল,
নিজেরে বদলায়ে বানায় আরো সস্তা
টানে মানব আকরিক, টানে যন্ত্রনার বস্তা।
যন্ত্রণায় অবশ হয়ে আসে হাত
লিখতে না পেরে পার হয় রাত।
আমি খনি শহরের মানুষ ভাই
আমি গাঁয়ের কথা লিখতে চাই,
শুনেছি যাহা সব, কত যে কলরব
ঐ তো নদীর বাঁকে, নাও ভেড়ানো থাকে
বৃক্ষের শাখে শাখে , পাখিরা ভীষণ ডাকে।
এসব বইয়ের কথা, বলে গাঁয়ের শ্রমিক
এখন অভাব শুধু, ঘিরিয়াছে সবদিক।
আমায় লিখতে বলে অভাবের কথা
শ্রমিকের দেশটার বুক ভরা ব্যথা।