মনে আছে অয়নের কথা!
হয়ত সবাই গিয়েছে ভুলে
নিস্তব্ধ রজনীর প্রায় শেষভাগে
আমি যখন ঘুমে আচ্ছন্ন থাকতাম
তখন হঠাৎ ও আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলত
ভাই চলেন বাসস্ট্যান্ডে যাই, চা খেয়ে আসি।
কত বকেছি, কত অভিমান করছি,
রাগারাগি করেছি ওর সাথে তার সঠিক হিসাব নেই।
মাঝরাতে যখন দোতরাটা করুণ সুরে বেজে উঠত
ও আমাকে অনুপ্রেরণা দিত,
অপলক চোখে চেয়ে থাকত দোতরাটার দিকে।
বলত ভাই আপনার হাতে জাদু আছে।
ওর একটা স্বভাব ছিল,
মুরগীর মাংসতে ঝালের পরিমান একটু বেশিই দেবার,
তারউপর আবার আমাকে বলে বলে রান্নাতে দিত
খুলনা অঞ্চলের বিখ্যাত চুঁই ঝাল।
আমি ভাত খেতাম আর রাগ করতাম
এত ঝাল মানুষ দিতে পারে তরকারিতে!
জানিনা এখন কেমন আছে ও,
আধুনিক যুগের কল্যাণে হয়ত
অদৃশ্যভাবে কথা হয় ওর সাথে।
কিন্তু মনের সেই আবেগ
আর প্রকাশিত হয়না এখন।
কত স্মৃতি কত ভালোবাসা যা এখন শুধুই অতীত
জানি আর আসবেনা তা ফিরে
তবুও ভালোবাসবো তোকে ভাই আমার,
আপন করে মনের গভীরে।