আমি এ দেশের সন্তান-এ দেশে থাকি- এ দেশে খাই- এ দেশে ঘুমাই- এদেশের প্রতিটি ধূলিকণা আমার অঙ্গে মিশে আছে। তবুও এদেশের নিরীহ যুবকরা চারদিকে ত্রাসের পাহাড়ে বাঁধা রয়েছে। আর সেই বাঁধায় পরে যুবকরা তার নিজের সুন্দর জীবনটা তিলে তিলে ক্ষয় করে দিছে। কেন? পৃথিবীর এই সুন্দর রুপকে সে কি বিমলিন হতে দিচ্ছে? তাহলে আমরা, যুবকরা কেন আমাদের সুন্দর্য্য মলিন হতে দিব? নাকি জন্ম নেয়ার পূর্বে বিধাতার কাছে কোন পাপ করেছিলাম? নাকি জন্ম নেয়ার সময় তার পায়ে ধরে কান্না করেছিলাম- বলেছিলাম, হে আল্লাহ্ আমি যেন ঐ সুশ্রী পৃথিবীতে এসে নিজের জীবনটাকে তিলে তিলে ক্ষয় করে দিতে পারি! নাকি এটাও বলেছিলাম, এ জীবন শেষ হয়েও যেন নাহি হয় শেষ। আমরা কিছুই জানিনা। তবে এখন এই যুব-সমাজকে বাঁচাতে আর যুবকের ফুলের মতো নিষ্পাপ জীবনকে বাঁচাতে সবাই মিলে আবার যুদ্ধে নামবো। যদি সাধারণ যুবকের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আমার জীবন দিতে হয়- এদেশে মহাকাল যুদ্ধ লাগে তবুও আমার পা পিছিয়ে যাবে না। বুক ভাসিয়ে এগিয়ে যাব সামনের দিকে। আমরা চাই তবুও যুবকের ফুলের মতো জীবন যেন নেশায় না পরে শেষ হয়ে যায়। যদি এই পৃথিবীতে এসে মানুষের জন্য কিছুই না করতে পারি তাহলে এ জীবন কেন? অর্থ গড়তে? ঐশ্বর্য গড়াতে? অট্রালিকায় থাকতে? তাহাও বোঝা যাবে না। আমরা যুবক মিলে প্রয়োজনে একটি নতুন দেশ- ভুবন তৈরি করে নিব। আর সেই কষ্টের পৃথিবীতে আমাদের নীল একটি পতাকা করে নিব। যেন সবাই এই নীল পতাকাটা দেখে বোঝতে পারে এই দেশে এক সময় বয়ে গিয়েছিল নীলাচল কষ্টের গিরি। তবু এদেশ এবং জাতিকে রক্ষা করিব। আমরা প্রমাণ করে দিব আদি যুদ্ধা হতে আমরা ভয়াবহ। আমরা নব তরুণ যুদ্ধা। আমরা লঙ্গিয়ে দিব সব কষ্টের ত্রাসের বিন্ধ্যা- বাঁধ। আমরা যুদ্ধা...।।
________________________________________________________________________________


এই মায়ের পথধূলি মাখা- তব অসহায় সন্তান
উত্তর দাও! তবু ত্রাসে দিতে হয় কেন প্রাণ।
হাজার যুবক ক্ষীণ-তনু মাগো তোর ব্যাপিয়া
নরেন্দ্র তব প্রতিকার- যুবক মরে জ্বলিয়া।
কষ্টে গাঁথা ক্ষীণ- প্রাণ—
কে করবে প্রতিকার! কে রে এত মহীয়ান?
মাগো- মাগো- মাগো!
তোমার রুপ কত সুন্দর- কত সুন্দর ধরণী
সেখানেও বসে কাঁদে- তবুও সন্তান হারা জননী।
নাহি তার ঘুম, নাহি তার অন্ন, নাহি যেন সুখ
হে বিধাতা ভেঙ্গে গড়ো দুঃখিনীর জন্য উৎসুক।
মরছে যুবক ধোকে কিসের আশায় দিচ্ছে প্রাণ
মম পবন ঝটিকায় আসে যেন দগ্ধ বান।
মাগো- মাগো- মাগো!
সবাই মরে! শির তুলে তবু দাঁড়াই না কেহ
বিষের আঘাতে তনু ক্ষীণ হল দেহ।
এই পৃথিবীর যাহা সম্বল—
বাতাসে ভরা দোল ঘাস- ফুল-ফল সুধাসমজল।
হে যুবক ধরণী কি কখনও তাদের করল ক্ষয়
তাই লঙ্গিয়ে ত্রাস- তুমি গড় চিরন্ত অক্ষয়।


ভাসিয়ে পালহীন সিন্ধে ভ্যালা বাহু বেয়ে চলো
আঁধারে কাঁটিয়ে আনো- সিগ্ধ মাখা আলো।
তুলিয়ে শির বাঁজিয়ে বাঁশি, পক্ষী কণ্ঠে গান
মুক্তি চাই! ওগো মুক্তি দাও- হে ভগবান।
শ্বেত জীবন কালো করে এ কেমন পাই সু-সাধ;
চারদিকে ঘিরে আছে নেশার দল বিন্ধ্যা-বাঁধ।
জাগিবে যুবক! উঠবে রবি- শশী জ্বলবে দীপ
তিরোধানের চিহ্ন! তাদের ললাটে টিপ।
এ সুন্দর জ্যোতি- দেহকে গড়ালো যারা মাটি
নেশা তুলে দেয় মুখে- কেঁড়ে নিয়ে দু’ভরা বাটি।
অমানুষ খু-সন্তান ধরণী
মায়ের মুখে তুলে দেয়- কান্না ভরা জননী।
শুকনের মতো উড়িয়া উড়িয়া বহু দূরে
বিষ দেয় তুলে- বিলিয়ে বঙ্গ ঘরে ঘরে।
হে ভগবান- মুক্তি চাই,
সুন্দর এই ধরণীতে পাই যেন করুণায় একটু ঠাঁই।
নরেন্দ্র, তাহারে ঠেলিয়া যারা তুলিল।– সব লোভী
কেঁড়ে নিল যুবকের প্রাণ- করে মরুভূমি।
গজব পেল বিধি- শির উপর মাঝে
মরনের তরঙ্গ যেন মম কানে বাঁজে।
তবুও মুক্তি চাই গাত্রে লয়ে শত যন্ত্রনা আঘাত
লঙ্গিতে চাই- নেশার মহা-বিন্ধ্যা- বাঁধ।