আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথ কি পান খেতেন? হটাৎ উদ্ভট এমন একটা ভাবনায় কুয়াশা জমাট বেঁধে থাকে বুকুল গাছটার তলায়। ওদিকে হয়তো চোখ যেতো না যদি প্রিয়সু আমার ফুল তুলতে না-আসতো এই শিশিরসিক্ত ভোরবেলায়। হয়তো তাও নয়, প্রিয়সু পান না খেলে এমন কুয়াশা জমবেও বা কেন? আসলে পানের মর্মকথাটা ভাবায় সেই রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রিয়সু। কই খিলি পান বা কেমন সেই খিলি? ইলিবিলি ভাবতে ভাবতে দোকানে গিয়ে বলি- এক খিলি পান দেবেন? চুন দেবেন না যেন, গাল পুড়বে । খয়ের দেবেন না যেন, দাঁতের ফাঁকে খয়ের কালো বিঁধে থাকবে, নাকি খয়ের খেয়ে আবার খয়ের খাঁ ?


জবর করে বরং চমন বাহার দিন, কাঁচা সুপুরি পাতাবাহারি জর্দার সাথে সাদা মেথি, নিম্বু জইন, পান পরাগ আর ভাজা ধনে-মৌরি। ও হ্যাঁ, সাথে বড় এলাচির কটি দানা, আর পানের উপরে তবক তো বটেই। দিব্যি পান নিয়ে গালভরে মজে থাকুন, সুবাসে ভরে থাকুন। বন্ধ চোখে আহা সুখ নিন।  
কণ্ঠে ‘সবসুখদুখমন্থনধন’ ফিরে এসো- জপিয়ে তুলুন।


গালভরে পান খেয়ে প্রাণ ভরালেন, অথচ পানের কোন চিহ্ন রইলো না ।
তাই ভাবছি, রবীন্দ্রনাথ কি ….