মেঘ উড়ছে পেঁজা তুলো ; কাশ দুলছে বনে
ফিরছে উমা ঘরেতে আজ ; পুলক মা এর মনে ।
হরেক নাড়ু, খই, মুড়কি তৈরী করে ভোরে
সাজবাতাসা , কদমা সবই সাজিয়ে থরে থরে।
এবার আমি বাইরে এলুম , হাতে বরণ ডালা
মেয়ে আমার ফিরছে ঘরে , মনে খুশির দোলা ।
মেয়ে আমার যে সে তো নয় , তিলোত্তমা সাক্ষাৎ
যুদ্ধ বিদ্যা , দিব্যজ্ঞান : পূর্ণ তারই দশ হাত ।
ত্রিশূল আছে ; চক্র, গদা, খড়গ আছে বইকি;
তলোয়ার আর ধনুক বিদ্যা কিছুতেই নেই খামতি ।
সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি ; ঠাঁয় ঘরের দোরে
ফুল চন্দন ; নীল পদ্ম সাজিয়ে কুলোর পরে ।
সন্ধ্যে গিয়ে রাত্রি হলো ; শিশির পড়ে টুপ
মেয়ে আমার আসলো না তো ; নীল কন্ঠ ও চুপ।
বরণ ডালা হাতে মা এর ; ঘুম এলো কই রাতে ?
সপ্তমী তেও দালান ফাঁকা ; অষ্টমী ও কাটে ।
নবমী তে আসলো না সে ; শূন্য চাঁদের হাট -
কোথায় উমা ; কী হলো তার ? মা এর চোখে রাত ।
পরের দিন হঠাৎ রাতে ; ফোনটি পেয়ে শীঘ্র -
বরণ ডালা ধুলোয় লুটায় ; গেলুম ছুটে মর্গ ।
উমা আমার লাল শাড়িতে ; থেঁতলে গেছে মুখ
টুকরো যোনি রাখেনি বাদ রক্তবীজের ভুখ ।
মা এর কোলে উমা লুটোয় ; শিশির ঝরে মাঠে
সবার মুখে বন্ধ তালা ; ঢাকের আওয়াজ ওঠে !


- ছাতিম