অন্তর্ধান (নেতাজির প্রতি)


সেই ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখা শুরু
কবে শৃঙ্খল মুক্ত হবে এই দেশ
ফিরিঙ্গির শোষণ, দুষ্টের প্রহসন
অত্যাচারীর দম্ভ হবে শেষ।


তুমি বাল্যকালে সেরা ছাত্র
তাই সপ্তসমুদ্র হলে পার
তোমার মেধা, অনন্য সদা
নব নেতৃত্বের শ্রেষ্ঠ আধার।


শিক্ষা যে ওদের দাস, করলে প্রতিবাদ
তাই যোগ দিলে এক জাতীয় দলে
ওরা পরালো মালা, ছলনার জ্বালা
ভ্রষ্ট নেতার মিথ্যা কপট ছলে।


গোলা বারুদের নলের সামনে
অপূর্ণ এই নিরামিষ প্রতিবাদ
বাঘ খায়না ঘাস, সে রক্ত পিচাশ
ভাঙতেই হবে তাদের সেই বিষদাঁত।


পিশাচের দাঁত ভিক্ষায় ভাঙ্গেনা
তাই জড়ো করলে যৌবন বারুদ
হাত রাখলে কাঁধে, যাকে ভাবলে বন্ধু
তারাই সর্ষের ভেতরে আসল ভূত।


তলায় তলায় বিভীষণ করলো ফন্দি
ফিরিঙ্গি ফেউ, তোমায় করলো গৃহবন্দী
ধুলো দিলে চোখে, উধাও পলকে
এগারো বার ভেস্তে দিয়ে অভিসন্ধি ।


তোমাকে রুখবে এত স্পর্ধা কার
তাই ছদ্মবেশে দেশের গন্ডি হলে পার
এবার স্বপ্ন, ধ্যানে যোগী হলে মগ্ন
কেমনে ভাঙবে দেশের রুদ্ধ কারাগার।


দেশের অসুখ ভন্ড (অভি)নেতা
তাই স্বাধীন করতে দেশের কাহিনী
ঘুরলে অনেক দেশ, শত্রু করতে নিকেশ
নেতৃত্বে জাগলো আজাদ হিন্দ বাহিনী।


দিল্লি চলো, রক্ত দিয়ে মুক্তির আহ্বান
নব কণ্ঠে, সাধু মন্ত্রে দেশের জয়গান
তোমার গর্জনে, সশস্ত্র বন্ধনে
ফিরিঙ্গিদের দিলে তার প্রতিদান।


রেঙ্গুনে প্রথম বিজয়, উড়লো ঝান্ডা
পরাধীনা দেশে নব মুক্তির আশা,
জাগরণে তুমি, ধন্য বরেণ্য জ্ঞানী
জাগালে বিপ্লবীর মাটির ভালোবাসা।


শেষে বিষাক্ত চক্রান্তের নিষ্ঠুর কাহিনী
তোমায় ফেলা হলো কোনো অজানা তিমিরে
তাইহোকুতেই শেষ! মানেনা স্বাধীন দেশ,
অসংখ্য ছদ্মবেশী তথ্য রয়েছে ঘিরে।


গুমনামী তুমি এসো ফিরে বারেবারে
নিকেশ করতে দুর্নীতির এই জ্বালা,
তোমার চরণে, বীরের স্মরণে
ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিলাম মালা।


⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️