অশান্ত মন নিত্যসঙ্গী জন্ম মৃত্যুর ডামাডোলে,
ফুরিয়ে যাওয়া এক রঙিন দিনে স্বপ্ন ছিলো রঙিন।
স্বপ্নের কাগজে লেখনী সব আপন খাঁচায় ছিলো বন্দী…
নিরলস প্রাচেস্টায় ভাবনার প্রতিষ্ঠা বিস্তারে কবি…
হামাগুড়ি দিয়ে এক পা দু পা এগুনো আজও মনে পড়ে।
পত্রিকার কাগজের ঠোঙায় ছাপা অক্ষরে ছিলো কবিতা,
চোখে চোখ রেখে সবার উদ্দীপ্ত চোখে কবিতা…পড়ে,
পায় প্রাণ একালের সেকালের লেখকের তালিকায়,
বাহঃ কবি কোথায় ছিলে এতোকাল এতটি বছর ধরে।
স্বীকৃতির আশায় আত্মহারা কবি উল্লাসে মগ্ন হৈচৈতায়,
হাতে হবে সন্মাননা পত্র প্রকাশনীর দফতরে প্রতীক্ষায়,
প্রকাশিত বই পাবে সন্মান কবিতার দরবারে সবার সমক্ষে।


ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায় কবির ধর্য্যের পরীক্ষা…দিন শেষে,
সৃষ্টির আনন্দে মেতে উঠা কবি স্তিমিত মনে চেয়ে থাকে সম্পাদকের দ্বারে।
এই বুঝি ডাকবে…..এই বুঝি…..আসে নি শুভক্ষণ…ভাবনারা বিকল…
চেয়ারগুলো ফাঁকা হয়ে যায়…কেউ নেই সম্পাদকের কোঠায়…
চৌকিদারের হাতে চাবি… দিতে হবে তালা….
নির্বাক কবি…..নিজের কবিতা….একি হলো….কপিরাইটের আওতায় কবি।
কবিতা নয় কবি আজ অশ্রুবন্দী।