বলার মত অভ্যেস তোমার চিরকালই কম ছিলো,
তাই হয়তো জোর করে বুকে চেপে রাখতে আমার উপেক্ষা।
নিরব পৃথিবীর ভোরে তোমার গল্প বলা বৃষ্টিরা যখন কাঁদে…
বালিশের পাশে রাখা টেবিল ঘড়ীটি যখন একঘেয়েমী সুরে বেজে উঠে…


তখন বুঝি ভালোবাসার হিসেবগুলো চিন্‌ চিন্‌ ব্যাথা দিয়ে বলে….
“ভালোবাসা পার্থিব নাহলেও হৃদয়ের যন্ত্রণায় ঠিক ফুটে উঠে”।
বৃষ্টির মতো অঝোরে কান্না টুপ টুপ করে পাঁচিল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে...
অথৈ মন সমূদ্রে সুনামীদের জলোচ্ছ্বাস চোখের গলিপথে বেরিয়ে আসে…
ঘন কালো মেঘের আতঙ্কে,একটি হৃদয় পালহীন ডিঙির মতো দিশাহারা হয়ে ছুটে…
“ভাঙরে বাঁধন….মিলবে হৃদয়….প্রেমজোয়ারে প্রেমের ছোঁয়ায়…
হাসি কান্নার অমোঘ বাণে….
বিঁধেছে এবার একটি হৃদয়”।
বৃষ্টি ঝরে অন্তরে যদিও তোমার গম্ভীর মুখ বুকচাপা কান্নার স্রোতে ভাসে…
কিছু বলা কথা চুপিসারে করে আলিঙ্গন,ভালোবাসায় উপচে পড়ে…
কফির কাপে গরম ভাপে নরম ঠোঁটে চুম্বনের রেশ থেকে যায়...কাঁপা অধরে...
হৃদয়ে উপেক্ষার দাগগুলো শুকিয়ে গেলেও কালসিটে দাগ,রয়ে যায়…স্থির কালো চোখে,
রাত্রির প্রহর গোনা দূরের চার্চের ঘন্টার শব্দে মিশে যাওয়া অগুন্তি মন খারাপের ঢেউ…
আজও বালিশের কালো কাজলের ছাপ কাঁদে আমাদের কথা ভেবে।