অনেকেই বলে মেয়েদের মনের তল পাওয়া ভার ।
জন্ম নিয়ে মায়ের কোলে বিবেককে দংশে যার,
আঁচল খুলে বরণ করে যারে সে কি হলো বিমুর্দ্ধ,
কচি খোকা হোঁচট খেলে প্রাণ কাঁদে মার মূর্ত।


অস্থিসারে দুগ্ধ বিলায় মায়ের বুকের শিশুকে,
হাতের কাছের খাবার তুলে দেয় খুদে ক্ষুদার্থকে।
শীতের রাতে জবুথবু মাতৃক্রোরে শিশু খেলে,
উষ্ণ হাতে শিশুটিকে নেয় মা কোলে তোলে।


অশ্রুজলে ভাসায় আঁখি শিশুর চোখের আড়ালে,
নুতন বস্ত্রে বেজায় খুশী চোখ মুছে মা আঁচলে ।
ইচ্ছাকে শিকেয় তোলে শিশুর ইচ্ছেই বড় সাজে,
জীবনের বিশটা বছর বিসর্জনে মাতৃরূপে মা সাজে।


পঁচিশ বছরের মেয়ে যখন বছর ডিঙিয়ে চল্লিশ হয়,
যৌবনের কল্পনায় ভেসে মেয়েটি তখন বৃদ্ধা হয়।
আশানিরাশা যখন ছেলেমেয়ের সুখে বিসর্জিত হয়,
তখন মেয়েটির জীবন মা হওয়াতেই শুধু তৃপ্ত হয় ।


ব্যথা পেলে ‘মা’, দুঃখ পেলে মা, অসহায়ে ‘মা’,
শিয়রে বসে জলপট্টিতে জ্বরের উপশমে মা।
মায়ের কাছে আদর আছে ফুরিয়ে যাবার নয়,
স্নেহের খোরাক আদি অন্তে মায়ের হাতেই রয়।