একঘেয়েমি জীবন বেড়েই চলেছে নদীর এপার ওপারের
চরের মতো,
দূরত্ব হয়েছে খাটো বেড়ে গেছে দূরত্ব জন্মের
সন্ধিক্ষণের হিসেব মতো,
একটানা সরু  দীর্ঘ পথের দুই ধারেই বিশাল খাড়াই
মরো নাহয় বাঁচো।  
পার হয়ে যায় দূরন্ত ট্রেন জীবনপথের ট্রেকে যেখানে
চরিত্র বদলায় ক্ষণে ক্ষণে,
ইতিহাসের পাতায় ধূলোর আস্তরণে আসল চরিত্র খুঁজতে
হাবুডুবু খায় বর্তমান,
মনের খোলসে ব্যাক্তিগত বিবর্তনে বদলে দেয়
পরিচিত কন্ঠস্বরে ভালোবাসার গান।
চিন্তার পরিবর্তন এনে দেয় ম্যাচিউরিটি…
সলিডারিটির হোল্ডিঙে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি।
আমিত্বের খবরে অসহায় অতীত..
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এনে দেয় বর্তমানের ঠিকানা,
পানসে লাগে পুর্বের অভ্যাস..ব্যবহারে বর্তমান..
ভবিষ্যতে কি হবে তা অজানা।
তবুও জীবন নদী বয়ে চলে মোড় ঘুরিয়ে
ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার ছাপ রেখে…
সুখ দুঃখের মিশ্রিত স্বাদ বেয়াদপের মতো রেখে যায়
বলিষ্ঠ রেশের উপর রেশ।
ক্ষতচিহ্নের গায়ের ফলকে লিখা থাকে এক কালের
অমায়িক ছেলেটির কথা,
চরিত্রের অবলোকনে গভীর অনুভবের চরে জীবন নদীর
গর্ভে জমে থাকে স্মৃতিকথা।
স্মৃতির পাল্লা ভারী হয় স্বভাবের রঙ গুলো সন্তর্পণে
ভীষণভাবে বদলে যায়,
শূন্যতার খাতায় বর্তমান পুরাতন হয় এগিয়ে যায়
জীবন নামের চোরাবালিতে..
পরে থাকে নিজস্বতার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চরিত্র বদলে গেলেও
ক্ষতি কি বদলাতে?
চরিত্র গঠন আন্দোলনে ব্রতী হয়ে সমাজগড়ার চেতনায়  
উদ্বুদ্ধ হতে?