মা মানে হল ওংকার ধ্বনি আকাশে বাতাসে রয়
মা হল সেই পরশ পাথর সকল দুঃখ জয়
মা মানে হল মানুষ নামের প্রথম শব্দ রেশ
মা হল সেই স্নেহের খনি ভালবাসা অনিমেষ


মা মানে সয় হাসি মুখে যে অশেষ যন্ত্রণা
নাড়ি কাটা ধন চোখ মেলে চায় দেখতে আলোর কণা
মা মানে হল স্তন্যদায়িনি অমৃত রসের ধারা
শিশু সন্তান কিছুই বোঝেনা মায়ের কোলটি ছাড়া


হামাগুড়ি দেওয়া তোমায় ছুঁতে তোমার পিছু পিছু
এলোমেলো সব নতুন শব্দে বলি যে অনেক কিছু
টলোমলো পায় হেঁটে চলা শুরু তোমার আঙ্গুল ধরে
তোমার স্বপ্ন ,আদর্শ সব দিয়েছো হৃদয় পুরে


তোমার কাছে সহজ পাঠের বানান হয়েছে সোজা
ইঁদুর দৌড়ে সামিল না করে কমিয়ে দিয়েছো বোঝা
স্কুল ছুটি হলে একছুটে তোমাকে জড়িয়ে ধরে
সোজা ফিরে আসি তোমার-আমার সাজানো পুতুল ঘরে ।


এই ভাবে দিন তোমার ছায়ায় সুন্দর দিনগুলো
রোদ ঝড় কত সামলে দিয়েছো কাদা মাখা হাত গুলো
তোমার  আঁচলে মুছিয়ে দিয়েছো আমার ক্লান্তি ঘাম
ঠাকুরের কাছে ভালো চেয়ে গেছ নিয়েছ আমার নাম


আজ বহুদূরে তোমায় ফেলে বেধেছি নিজের ঘর
সবাই এখানে বড় কাছাকাছি  তবু যে ভীষণ পর
মাটি মমতায় করেনা আদর মাথায় বোলায় না হাত
দুপুর রোদও ভীষণ কঠিন ডেকে আনে কালো রাত


তাই তোমার কাছেই ফিরে যাব মাগো সবুজ ধানের দেশ
তুমি কোরো ক্ষমা কোমল হাতে   জীবন যন্ত্রণার শেষ
যারা অভিমানে চোখের আড়ালে কেঁদে চলে অবিরত
সন্তান দূরে কিন্বা কাছে তবু হৃদয়ে দিয়েছে ক্ষত


বৃদ্ধাশ্রমে বা একা ঘরে ভীষণ অন্ধকারে একরাশ অভিমানে
যারা একাকী জীবনের সবটুকু দিয়ে আজ ভাটার টানে
তার পদতলে নিয়ে এসো আজ যত ভুল গ্লানি
কাছে টেনে নেবে স্নেহ চুম্বনে সন্তানে অবোধ জানি  ।।