আকাশের নীলগুলোকে হয়ত আর
বেশি দিন দেখব না,
প্রতিদিন কতগুলো অদৃশ্য হাত এসে
আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যায়।
আর আমাকে ঘুমন্ত রেখে
চুরি করে নিয়ে যায় আকাশের নীল।
সবাই কেমন যেন মুখবন্ধা করে
প্রতিবাদহীন হয়ে দাড়িয়ে থাকে,
আর আমার অস্থিরতা দেখে
কেবল মুখ চেপে হাসে।


ঘাসের মুক্তাগুলো যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে।
বার বার যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে
ইট কংক্রিটের কাছে,
মাথার উপর সুঠাম পায়ে দাঁড়াচ্ছে
কতগুলো কৃত্তিম নীর।


ঝিল ভরা নীল পদ্মও বেশী চোখে পড়ে না।
কেমন যেন চুপ হয়ে গেছে,
ডানা মেলে সৌন্দর্য প্রকাশ করার
উর্বরতাও তার মাঝে নেই।


এখন হাস্যোজ্জল তরুণীকেও পথে দেখি না।
কেমন যেন বিমর্ষ হয়ে পড়েছে,
বিতস্র হরিণীর মত পথ চলছে,
চোখে মুখে দুশ্চিন্তা।
কখন যে ধর্ষকের দল এসে আবার থাবা মারে।


এখন সেও যেন কেমন হয়ে গেছে,
বুকে কান পেতে আর হৃদকম্পন শুনা যায় না,
তার চুলে এখন আর মন ভাল করা
লেবু পাতার গন্ধ নেই।
এখন সে "বরুনার"মত
একটা সাধারণ নারী মাত্র।


আর আমিও যেন কেমন হয়ে গেছি,
কারো প্রতি করুণার উদ্রেক হয় না।
কোন কিছুর প্রতি আর কামনা জাগে না।
আকাশের নীলগুলোকেও ভাল লাগে না।
হাসি যান্ত্রিকভাবে,
কাঁদি যান্ত্রিকভাবে,
ভালবাসি যান্ত্রিকভাবে,
কামনা করি যান্ত্রিকভাবে,
কেমন যেন একটা যন্ত্র মানব হয়ে গেছি।