সদ্য এ্যালজেবরার ঘুম ভাঙ্গা চোখ দেখে ভেবেছিলাম
সমীকরণের জট খুলে প্রেম বিকোবো।
সন্ধ্যের রসায়ন এ ভাবে রাতের অগনিতক নির্মাণ করে আধার নামাবে কেইবা ভেবেছিল।
বরং এটিই স্বাভাবিক ছিল ভাবা
বুকের তিল চিহ্ন ধরে হাতের মুঠোয় হিমালয় ধরা -
ঠোঁটের জ্বরটুকু শুষে নিয়ে শরৎ রোদ খেলুক ঠোঁটের চরায়।
আরো একটু ঘন হলে জারণ,
মধ্য দুপুরে কাকের কর্কশ ঢেকে নেমে আসবে বরফ ভাঙগার সুর, এক কবিতা বিকেলে।

হাতের আঙুল গলে সন্ধ্যা পালাল,
অবলীলায় ছুঁয়ে দিল চন্দ্রবিন্দুর তল।
নাব্যতা হারা কপোতাক্ষের বুকে
জল-শ্যাওলার পরাগায়নে।
আটপৌরে বিকেল-সন্ধ্যায় তার বেগুনী-সাদা ফুলে অলস সঙ্গমের গল্পে,
দিব্যি বাতাসে লুকোচুরি খেলে,
টোল ফেলা জলের গালে দোলনা হাসির পটভুমিতে বরেন্দ্র চিত্র আঁকে।

সেবার মানচিত্র আঁকবে বলে যে রং জমা হয়েছিল,
কবিতার পান্ডুলিপিতে আজ আঁচড় কেটেছে,
বেহায়া শব্দ গুলোও র্নিদ্বিধায় উদোম হয়।
রসায়ন ভোলা রাত বেবাক ভুলে গ্যাছে
সরল রেখায় নিজস্ব লম্ব-বিশ্বাসের কোণ।
রাতের নামতা আর সুত্র ধরে
জ্যামিতির আর কিইবা প্রয়োজন?