মৃত্যুর চিহ্ন নিয়ে ভাসছিল শঙ্খমেঘ
বিরাম চিহ্নহীন সে চলা।
শুধু তার বুকে জমে থাকা দুঃখোগুলো
পাহাড়পারে জল হোয়ে ঝরার অপেক্ষা করে-আল্পসের।
তৃষিত পাহাড়ের স্নানহীন রতি-রাত্রির গন্ধ্ ধোয়ার।

নীলবিষ মেখেছিল চন্দ্র-  কামনা জুড়াতে
নীলাদ্রী জোছনার বিস্তার তার।
কামকলা পূর্ণ হয়নি এ একাদশীতেও
তাই এবার পূর্ণিমার কোলাজে কৃষ্ণপক্ষের নিলাজ নিমন্ত্রন।

প্রত্যাশার আঁচলে মলিন হলো শ্লোক সন্ধ্যা
বন্ধ্যা বাতাসের খুঁনসুটিতে
স্বস্তি হারানো পথের পাদটিকা।

তারপরও...
নিতান্ত অবহেলার অবগুণ্ঠন ঠেলে
জাগে রোদ্রের সকাল,
হিসেবি পায়ে হাটে দুপুরের পথে ।
আমি দুহাটু মুড়ে নিস্প্রভ চোখে দেখি আকাশ
উদ্র্ধমুখে ঠিকানা খুঁজি রাতের উঠোনে।

পৈঠের পাশে দেখি হলুদাভ অংকুর
শিরে ধরে সতেজ সবুজ পাতা
বাতাসের চৌকাঠ ডিঙিয়েই আকাশের ঘরে আঁকছে আল্পনা।

আমি স্থির হই-
প্রথম পাতার মতোই তার সাথেই পেয়ে যায়
স্বচ্ছ-সতেজ প্রত্যাশার ঠিকানা।

তর্জনী আকড়ে তখনো দাড়িয়ে এক সতেজ
অংকুর....প্রত্যাশা প্রাণ।