তোমার তুচ্ছার্থে সাগরে তরঙ্গের উল্লাস,
আবহাওয়ার এদিক ওদিক পলায়ন।
তোমার গোপন রস রসিকতায়
অনিঃশেষ চিরন্তন বসন্ত কাল।
বসন্ত এসে গেলো মনে,
তবু কোকিল গায়লো না সুরেলা কণ্ঠির গানে।
তুমি তো সেই, যার পদতলে ঐ লাল গালিচা
নিঃশেষ হতে চাই আজীবন,
তুমি তো সেই, যাকে সম্বোধনে
অপেক্ষায় থাকে ভোর বেলার আহ্বান।


তুমি থাকলেই মনে হয়
মন-প্রাণ গ্যাসবেলুনের মতো আকাশ
ছোঁয়ার প্রচেষ্টায় উড়ে বেড়ায়,
হৃদয়ের ইমারত দাঁড়িয়ে থাকে
তোমার হাতের লেখা চিরকুটের আশায়,
সপ্তাহের শেষ কার্য দিবসের গোধূলি লগ্নে
একটু কথা বলা চাওয়া টেলিফোনের মন থাকে
নিরন্তর অপেক্ষায়।


হঠাৎ আচমকা চোখে চোখ পড়লে
তোমাকে দেখেই ভায়োলিনের সুর
এলোমেলো হয়ে যায়,
হাতের লেখা পথ খুঁজে পাই না বলে
আঁকাবাঁকা রাস্তায় পথ হারায়।
আমি জানি না, জানি না তোমার
ভেতর কি বিশেষত্ব বিরাজিত,
তবে তুমি আমার কাছে
শেক্সপিয়রের ট্রাজেডি নাটকের পটভূমি তে
অভিনয়ের নায়িকার মতোই এক বিশেষ নারী।
আমি এটাও বুঝতে পারছি না দোষ কার ছিলো,
বেলা বোস নাকি অঞ্জনের,
দোষ টা বরং অপেক্ষার কাঁধেই ঝুলানো থাক।
তোমায় ভাবতে গেলে,
গুনগুনিয়ে গান গাওয়া আমার গলায়
সুর তাল লয় কোনোটাই নির্দিষ্ট থাকতে চায় না।


জানো ইতি,
তোমায় না পলক বিহীন দেখতে ভালো লাগে।
তোমাকে হয়তো জানানো হয় নি সেদিন
যেদিন তুমি তাড়াহুড়ো করে জানতে চাইলে
পাসওয়ার্ড দিয়ে ভ্যাক্সে প্রবেশ করা যাচ্ছে কি না,
সেদিন গরম গরম চায়ের স্পর্শে
পুড়েছে আমার জিহ্বার সমতল ভূমি।
হঠাৎ তোমায় ফোন দেওয়ার কথা,
দুষ্ট মনে যা হয় আর কি!
তবে কথোপকথনে তোমার যে শান্তির নিঃশ্বাস
শুনতে পেলাম, ঐ কিঞ্চিত
শান্তির ভালো লাগাটা সেটাই
খুব ভালো লেগেছিল।


আধুনিক জ্যামিতির জনক ইউক্লিড
গণিতের উপর তার বিশেষ দক্ষতা
দেখিয়েছিল রেখা,কোণ,বৃত্ত নানান
জ্যামিতি পৃথিবী তে উপহার দিয়ে।
কিন্তু তুমি হলে এক সরল রেখার মতো
যার দৈর্ঘ্য দূর বহুদূর এক চোখের পথ,
তুমি তোমার বৃত্তের কেন্দ্রে নিজেকে
অতুল্য প্রতিস্থাপন করেছো।


তবে আর যাইহোক
কুয়াশায় ঢাকা ভোরের নিস্তব্ধতায়
সূর্যের আলোর প্রতিবিম্ব তোমার আলতা
রাঙা পায়ের ছাপ আলোকিত করতে,
মোটেও দু-এক মিনিট বিলম্ব মাশুল
দিতে বাধ্য নয়।
আর কেনই বা শুধু শুধু মাশুল গুনতে হবে?
এই তার পরম সুযোগ, এই তার পরম পাওয়া।


আসলে জানো ইতি,
প্রত্যেক মানুষ নিজেকে নিজের অবস্থান থেকে
হারাতে চায় না, লুকিয়ে রাখতে চায়,
চায় শুধু কেউ থাকে নিকটে খুঁজে নিক,
কোন না কোনভাবে, সূচনা থেকে উপসংহারে,
কেউ থাকে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করুক,
কথায়, এককথায় বা বর্ণীল বর্ণনায়।
তাই অপ্রিয় অজ্ঞাত কেউ একজন না হয়
তোমাকে সাজালো তোমার তোমাকেই।
নদীগর্ভে সময়ের ঢেউ প্রবাহিত হয়ে
গভীর সাগরে মিলে যায়, মিশে যায়,
ইতি'র রেখা সমান্তরালে চলমান -----
কভু শেষ হওয়ার নয়...!!!!!!!!
----------------------------


২৭শে ডিসেম্বর ২০২১ইং
(২য় খন্ড) - সমাপ্তি।