মনে পড়ার কোন কারণ নেই
তবুও কি মনে পড়ে
আমাদের প্রেম ভালোবাসার কার্বন  যুগ?


সেই তখন থেকে বেড়ে চলেছে,
সভ্যতার সাথে ধীরে ধীরে সভ্য হচ্ছিলাম।
দুজনে ছিলাম যেন জৈব আর যৌগ।


তুমি কেমন প্রেমিক পুরুষের প্রেমিকা?
ভালোবাসার পরীক্ষা নিয়েছিলে
টলেন বিকারক ও ফেইলিং দ্রবণ দ্বারা।


তোমাকে দেখেছিলাম খুবই
উজ্জ্বল, বর্ণহীন
আমাদের এক কেন্দ্রাভিমুখতা ছিল
অক্সিজেন এবং নাইট্রাস-অক্সাইড ভরা।


মোর হৃদয়টাকে সংকুচিত
থেকে প্রসারিত করেছিলাম
রোবনের মতো চারিদিকে,
শুধুমাত্র তোমারই জন্যে।
মনের গহীনে রেখেছিলাম তোমায়
সোডিয়ামের মতোই।


কিন্তু,
আমি মোটেও জানতে পারলাম না
আমার প্রেম জীবনের পরীক্ষায়,
এত বড় ভুল ছিল।


অ্যালুমিনিয়ামের মতো সহজলভ্য তুমি,
হয়ে গেলে সময়ের ব্যবধানে ফ্লোরিন।


কষ্ট হলেও বাস্তবতা মনে নিয়ে
মানিয়েছি যে,
কার্বন ফেলে রেখে
হৃদয়ে স্থান দিয়েছিলাম
সিলিকাকে।


তুমি আজ প্লাটিনাম
ভিন্ন পরিবেশে অন্যের প্রতিবেশিনী।
বারংবার আমার কাছে,
তোমার স্নিগ্ধ দেহের পিরিডিনের গন্ধ।

আর এই বিষাক্ত পরিবেশ
হয়ে আছে ক্লোরিন পূর্ণ।
তার মধ্যখানে আমি এক
কপার সালফেট।


রসহীন রসায়ন টা পড়তে মজা পাই।
তোমার রসাতলে আর রাখতে চাইলে না আমাকে।


নিঃশ্বাসের জন্য যেমনটা অক্সিজেন প্রয়োজন,
তোমাকে সেই অক্সিজেন ভেবে
আজ দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম আমার।
এক মুহূর্তের জন্য আটকে আছে
হৃদয়ের স্পন্দন।


চোখ বুজে যাওয়ার পূর্বে
হৃদয়হীনার কাছে শেষ আবদার
থাকবে একটিবার,


পারো যদি কপালে দিয়ে যেও
আবেগী শেষ চুম্বন,
বিদায় হবে সেদিন চিরতরে
মুক্তি আমার।


০৫ই জুলাই ২০২১।