মানসী, ঝাউদীঘির জলে আমি এক বৃত্ত আঁকি
বৃত্ত, নাকি তোমার বিদ্যুৎ-ভরা পীনপয়োধর ?
আমি উল্লসিত হয়ে উঠি, আলোড়িত হই অমিত প্রজ্ঞায়
কেন-না তোমাকে পাই খুব অল্প সময়,
কিছু বলতে না-পারার ব্যর্থতায় হুররে বলে
চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছে করে—
মেঘলা দুপুরের ফুটপাথে অথবা দ্বিধাহীন দুর্গম এলাকায়।


ঝাউদীঘির গভীর জলে নির্মোহ এক বৃত্ত আঁকি
বৃত্ত, নাকি শস্য-ভরা বর্তুল গোলাঘর ?
ঠোঁটের কিনারে রঞ্জিত হয় সম্মোহনী প্রেম।
যোজনগন্ধা, তুমি এই অবসাদগ্রস্ত বিপুলা পৃথিবীও
তথাপি পিপাসার জল দাও চিরকাল।


এই সূর্য নিভে যাবে একদিন
এই চন্দ্র অস্তমিত হবে কোনো এক শতাব্দীর শেষে
সেদিনও তুমি থাকবে, থাকবে তোমার হিরন্ময় শরীর
এরকমই আবারও উল্লসিত হয়ে উঠব
উন্মোচিত হব প্রণয় রচনায়।