দীর্ঘ অন্ধকারের পথ ধরে আমরা চলেছি, আমরা ছন্নছাড়া
জ্যোতির্ময় সদুত্তরের খোঁজে আমরা চলেছি
                                             অন্ধকার ভেঙে ভেঙে
কাল থেকে মহাকালে নিয়ম ভাঙছি, আর প্রতিধ্বনি তুলছি
উচ্চগ্রামে বাঁধা আমাদের শির টানটান, প্রখর প্লাবন যেন।


আসুক ঝড় ক্ষ্যাপা যুবকের কণ্ঠে, পৃথিবী জুড়ে ...
মেঘ-বৃষ্টি  থোড়াই কেয়ার
নতুন পৃথিবীর ভূমিষ্ঠ হওয়া চাই যে !
সৃষ্টির আলোড়নে উদ্ভাসিত হবে মানুষের মুখ।


আমরা চলেছি প্রহরের পর প্রহর
আমরা চলেছি শেকল-ভাঙা, নিজস্ব শিকড়ে
আমরা চলেছি নষ্ট অতীতের সমস্ত শোকতাপ ভুলে
আমরা চলেছি অন্ধকারের মুখে অ্যাসিড বাল্ব ছুঁড়ে ছুঁড়ে
           চমকে উঠবে শয়তান-মুনি-মোল্লা
           চূর্ণবিচূর্ণ হবে মন্দির-মসজিদ-গির্জা
কোরান-বাইবেল-উপনিষদ ধুয়ে জল খাক যাঁরা খাবে।


দীর্ঘ অন্ধকারের পথ ধরে আমরা চলেছি,
                          আমরা প্রতয়ী আর নির্ভীক যুবক
নিয়ম ভাঙার খেলায় আমরা মেতেছি
আমরা কঠোর-কঠিন সেইসব যুবকের দল
মুক্ত পাখির সোনালি ডানায়
উজার হয়ে যায় রৌদ্রের ভিতর...
কেন-না গতানুগতিকে আস্থা রেখে
গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাতে আমরা অপারগ।


বি : দ্র : আমার প্রতিটি কবিতার পাঠকসংখ্যা এবং মন্তব্যকারীদের সংখ্যাই স্পষ্ট ভাষায় বলে দেয় চলতি হাওয়ার পন্থী আমি হতে পারিনি। সিস্টেম আমাকে গ্রাস করতে পারে না। তবু আমি আছি,আমি থাকব।