আমি অনির্বাণ ।
আমি শুনেছি বিংশ বসন্তে কোকিলের সুমিষ্ট কুজন,
আমি দেখেছি সম্মুখে দায়িত্বের আহ্বান,
দেখেছি পশ্চাতে দুষ্টুমির হাতছানি ।


আমি অনির্বাণ ।
আমি দেখেছি তাকে শৈত রাতে,
কোন এক বিবাহ বাসরে ।
যখন বর - কণের হাতে হাত,
আমাদের চোখে চোখ - শুভদৃষ্টি ।
সাজনাতলে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ,
তোমাকে চাওয়া আর কিছুটা পাওয়া ।।


আমি অনির্বাণ ।
বিগত দুইদিন আমার কাছে স্বল্প চেয়ে অনেক পাওয়া ,
হতাশ জীবনে আনন্দের স্মৃতি ।
হয়তো এই স্মৃতি স্থান পায়নি তোমার মনের চিলেকোঠায়,
হয়তো নব প্রভাতের সূর্য কিরণ মলিন করেছে
পূর্ব রাতের অন্ধকারে তপ্ত স্পর্শ স্মৃতি ।
হয়তো গোলাপ কুঁড়ির স্থান হয়েছে নর্দমার পঙ্কিল গভীরতায় ।।


আমি অনির্বাণ ।
আর তুমি ? তুমি আলেয়া,
মরুভূমির মরীচিকা তুমি ।
উপভোগ্য নয় তোমার সৌন্দর্য ,
কাছে এসেও ধরা দাও না তুমি ।
তুমি শীতের প্রভাতে কুয়াশা,
বর্ষাকালের কালো মেঘ তুমি ।
শরতকালের শুভ্র পেঁজা তুলো
তুমি গ্রীষ্মের দুরন্ত কালবৈশাখী,
তুমি আরো কত কি !


আমি , আমি অনির্বাণ ।
এবার দিবাস্বপ্ন ভাঙ্গার পালা,
মনে নানা প্রশ্নের উঁকিঝুঁকি ।
আবার কবে দেখবো তোমায় ?
দেখলে চিনতে পারবে তো ?
হয়তো কোলের বাচ্চা হাতে তুলে
দাদা বলে দেবে পরিচয় ।
ব্যর্থ হবেই আমার একক প্রেম ।
জোয়ার - ভাটার নিষ্ঠুর খেলা
আমার হৃদয় সাগরে ;
ব্যর্থ আমি, হতাশ আমি,
তবুও আমি অনির্বাণ ।।