আছে হাজার কবি, হাজার কাব্য, হাজার-হাজার কবিতা ,
তোমার কাব্য যুগের জ্যোতি, যেন জীবন্ত জ্বলন্ত সবিতা !
তুমি কক্ষ চুত্য ধুমকেতূ, চন্দ্র-সূর্য তোমার কদরদান ,
লবেজান দের বাক্য দিয়েছে, মুর্দা পেয়েছে জান !
কলমে তোমার কাব্য ঝরে নি - ঝরেছে কালের কলমা ,
বোবার পেয়েছে বজ্র নিনাদ, তুমি ছিলে বিদ্রোহী দের বালমা !
তুমি গতকাল ছিলে,ইহকালে আছ,  থাকবেও ভাবি কালে ,
সৃষ্ঠিতে আছ ধ্বংসতে আছ, আছ ভাক্তির জবাফুলে l
জীবন জড়িয়ে অনেক ঝঞ্জা তাই বাজে ঝঙ্কারে টঙ্কার ,
নামাজে নামাজি তুমি - শাক্ত বাবাজি, গাও আজানেও ওঙ্কার !
সাধু স্বজ্জনেরা গড়েছে সমাজ, কেনো তবু ধর্মে-কর্মে দ্বন্ধ ?
তোমার সুদ্ধ জ্ঞানে মানবতার বাণী, সত্যি মানুষেরা সব অন্ধ !
কতো কি বলেছ কতো ছিল বাকি - হয়ে গেলে কেনো চুপ !
যা কিছু বলেছ তাতেই এ-রূপ, না জানি ছিল- না বলায় কত রূপ !
জীবনের অনুভাব গুলো আলপনা করে ভরেছ মনের  দুয়ারে-দ্বারে
দুর্দম সাহসে দিয়েছ পাড়ি অগম্য গিরী, মোহময় মরু অশান্ত পারাবারে !
কিছু স্বপ্ন কাঁদায়,  কিছু হাসায়,  কিছু উড়ে যাওয়া বুলবুল !
সময় ভাঙ্গবে-গড়বে, শুধু জেগে থাকবে,  তোমার স্মৃতি সৌধের ফুল l
কি দেবো তোমায় ওগো নজরুল, নাও সেলাম-এ-নজরানা !
আমার কলম বড়ো অক্ষম, কি ভাবে করবো এ কাজিনামা ?