আজ বট গাছের তলায় বসে
কোনো কল্পতরুকে ভাবি !
জীবনের সব বন্ধ পথের যদি
তুমি একটাই হতে চাবি l
যে চোখের সাগরে ডুবেছি আমি
যদি সত্যি সাগর হতো !
মরুভূমির মাঝে বইয়ে দিলেই
সবুজ প্রান্তর হতো কতো l
তোমার ওই অশ্রু ধারার মতি
যদি সত্যি হতো মতি
কোনো মর্কট গলায় পরতো না
হতো বহু দুঃখের ইতি l
কমলের মতো সুন্দর এই হাত
যদি প্রকৃতই হতো পদ্ম !
বেচারা ফুল খুঁজে খুঁজে ফিরতো না
দিয়ে জীবনে দিতাম ছন্দ l
আমার জ্যান্ত প্রেমের পরম মূর্তি
যদি প্রেমের প্রতিমা হতে !
রনাঙ্গনে, তোমার মন্দির হতো উচ্চ-
অস্ত্র ফেলে, ফুল নিত সব হাতে l
তোমার ঠোঁট তো গোলাপ পাপড়ি
যদি হতো আসল গোলাপ !
আজ ঘৃনা হিংসার হাতে দিলেই
ওরা করতো প্রেমের আলাপ l
চরণ ধ্বনিতে জীবনের সুর বাজে
যদি সত্যি মন্ত্র হতো !
মূমুর্ষেরা মরতো না আর আজ
ভরতো বহু বুকের ক্ষত l
ওই হাসিতে দুঃখ ভুলি আমি
যদি এ কোনো ওষুধ হতো !
মন মরাদের খাইয়ে দিতাম আজ
দেখি, দুঃখ কিকরে ছুঁতো l
তোমার রাগ যে বহ্নি লাভা
যদি হতো গিরির লাভা !
পাপিষ্ঠদের পুড়িয়ে দিতাম আগে
পরে যেতো নাহয় ভাবা l
তোমার যে মন দেখেছি আমি
যদি সনাতন হীরা হতো !
আমি বুকের মাঝে ঝুলিয়ে নিলেই
লজ্জা পেতো কোহিনূর কতো l
তোমার সবুজ শাড়ির আঁচল
যদি সবুজ বনানী হয় !
অকালের মাঝে বিছিয়ে দিলেই
আর ফসলের কি ভয় l
আমার মনের মুগ্ধ মায়ার মানসী
যদি হতে মায়ার মালিকা !
ক্রোধী, কপট ক্রোধকে ভুলতো -
পেরোলে মায়া-মোহের পরিখা l
তোমায় পেয়ে পেয়েছি অমর ভাগ্য
যদি অমৃত ভাগ্য হতে !
সব, হতভাগাদের ভাগ করে দিলে
সবাই কপাল নিতো জিতে l
আমি, যতো ভাবি ভাবের কথা-
ততোই ভাবনা বেড়ে যায় !
দীর্ঘ শ্বাসে অনেক কষ্টে হেসে
শুধু বটগাছ লজ্জা পায় l