মৃত্যুর পরে উঠেছি জেগে, ভূত ভেবে ভয় করোনা !
মনের মরণ হয়েছে কিন্তু শরীরে সজাগ চেতনা l
প্রভু তুমি ঈর্ষা করোনা, যদি নিজের দম্ভে চলি !
চিরজাগ্রত আজ নীরব কেন ? সাড়া দাও কিছু বলি !


অস্তিত্বের অপ্রকাশে- লাগছো তুমি পাথর !
উত্কন্ঠায় কন্ঠ স্তব্ধ, নীরবতা বড় কাতর l
তোমার পৃথিবী বিচারশালা, তবু বিচার হলো কবে ?
এক হত্যায় মুক্তি নাহলে, হাজারের কী হবে ?
জঘন্য পাপের ঘনত্ব বেশি লঘুপাপ বড় পলকা !
গোপনে যারা গরল দিল; সামনে হাসে হালকা l
দুনিয়াতে দৃপ্ত এরা, সতত তৃপ্ত মনে !
আর অসহায়ের অস্পষ্ট ভাষা, স্তব্ধ ক্ষণে ক্ষণে l


বোবা কালার শত্রু কম, তাইকি পাথর স্বামী !
নেই কোনো কাজ সুখের বাতাস হাসছ অন্তর্যামী l
তেলামাথায় তেল পড়ছে মহান দাতা তুমি !
ভেদাভেদে বিভেদ বাড়ে, কোথায় ত্রাতা তুমি ?
সবার ফুলে তুষ্ট তুমি পুষ্ট মহাভোগে !
অকর্মন্য যোগীর কর্ম জপ-তপ আর যোগে l
কৃষ্ণ আজকে হারিয়ে গেছে পাথর প্রতিমা পরে !
মহাপ্রলয়ের বৃষ্টি হলে পাহাড় কে আজ ধরে l
দুর্বল লজ্জাবতীর লজ্জা কাড়ে নির্লজ্জ দুর্জন !
নব দ্রৌপদীর দর্প রাখতে কোথায় জনার্দন ?


তাই চিন্তামণি দুঃশ্চিন্তা তাড়াও নাহয় করো পাষাণ !
তুমিও পাষাণ আমিও পাষাণ,  জীবন হোক আসান l