দিনের শেষে ছদ্মবেশে নীরব পাদপেরা
তারই পাশে চারটি ছেলের সঙ্গ দিয়ে
জোয়ার টানে আবির গোলা তরঙ্গরা।
অন্ধকারে বাইকের আলোয় প​ড়ল ধরা
পিচগলা রাস্তায় দাঁড়ানো দু-হাত এককরা।


এসব দেখতে দেখতে চলল কালোমূর্তি চারটা
কেউ কুমড়োপটাশ কেউ বা বাঁশের মতো লম্বা।
চেহারা ভিন্ন​--- কিন্তু মুখে তাদের একই কথা
কখন ফুরোবে এই পথ​,পৌঁছাবে সেই সোনাঝুরি?
চলছে তারা পায়ের শব্দে,করবে আজ গানচুরি।


অবশেষে চিন্তা-ভাবনা-ধারনার ঘটল অবসান
ধূলার প​ড়ে কাগজ বিছিয়ে জনা ক​য়েকজন।
গীটার হাতে সবাই মিলে মুখে কেবল গান-কথা
গানের সুরে মুগ্ধ সবাই,ঝ​ড়ছে গাছের সুরেলা পাতা।


প​ড়ছে মাথায় গান কুয়াশা, বইছে গানের হাওয়া,
চলছে অজ​য় গানের ঢেউয়ে,উড়ছে গানের ধোঁয়া।
দূর আকাশে মেঘ সরিয়ে পাতার ফাঁকে চাঁদমামা
নিভৃতে নির্জনে দিয়েছে ঢেলে কলস ভরা জ্যোৎস্না।


মোদের মতই রাতও আজ চাইছে না হতে ভোর
(কিন্তু) চাঁদের মুখ আড়াল করে মেঘ হ​য়েছে চোর।
শত অনিচ্ছা সঙ্গে নিয়ে সোনাঝুরিকে বিদায় দিয়ে
                                    এলাম মোরা ফিরে
এসে দেখি, এ কি? বিরাট গীটার দেওয়াল জুড়ে
                                 পাখার শব্দে সুর ঝরে।
গিয়েছিলাম সোনাঝুরি, করতে গানচুরি এলাম রাতে
                  ঘরে ফিরে, গান নিল মোর ঘুম কেড়ে।।