আজন্ম শুধু ভাঙতে দেখলাম।
ঘর ভাঙলো, বুক ভাঙলো
বর্ষার তোড়ে জনৈকার আদরে বসানো
নীলাম্বরির চারা ভেসে গেলো দেখলাম
বয়েসকালে দেখলাম গাল ভেঙে গেল মানুষের
ঘর ভেঙে গেল, ঘর ভেঙে গেল সেদিনও
আমি নিজেই ভেঙে ফেললাম কত কী।


ঘর বুঝি ভাঙারই হয়।
ঘর ভেঙে বুঝি হয় মাটির পাহাড়।
আমরা প্রতিবার তবু সন্তান আনি মহা উল্লাসে।
আমরা প্রতিবার একেকটি সন্তান ঠেলে দিই শেয়ালের টোলে।
তারা বড় হলে প্রশ্ন করে কেউ।
মাটির পাহাড় খুঁড়ে ছোটবেলার ছবি খোঁজে কেউ।
আমরা নিরুত্তর দাঁড়িয়ে থাকি।


ওরাও তো আমাদের মত প্রেমহীন হবে।
ওরাও তো আঁচড় দেবে মানুষ –মানুষীকে
ওদেরও তো ভালোবাসা পাবে, ওদেরও তো প্রেম মরে যাবে
আমৃত্যু দাঁড়িয়ে রবে ট্রাফিকে, জটলায়
অপেক্ষারত হবে লাইনে, পথে –ঘাটে
প্ল্যাটফর্মে হেঁটে যাবে ডাউনের লোকালে ওঠার হিড়িক এলে—


ওরাও তো প্রতি রাতে
বুকের মাংস চেপে ঘুম যাবে।


ওরাও তো প্রতিদিন মানুষিক সভ্যতা খুলে
মাঝে মাঝে পরে নিতে ভুলে যাবে।