মন ছাপিয়ে ওঠে ভালোলাগার নন্দন / অনিরুদ্ধ আলম


কলকাকলি ছন্দে গাঁথা কবিতা-পড়া অত সকালবেলা
তুবড়ে-যাওয়া উড়ুপি পেঁজা ঘন হাওয়ার ভেলা
তেপান্তরে গহীন ঘেসো ঝোপের কানা গলি
গাঁওগ্রামের জানা-অজানা গলি


যতটা ভালো ভেবেছ তার চেয়ে অনেক ভালো
ধুলোর শাড়ি লেপটে-থাকা পোড়ো বাড়িটা। দারুণ জমকালো  
আকাশি নদী। নদীর খুব ভেতরে শত মেঘের হুড়োহুড়ি
চোখ ছাপিয়ে উড়াল-দেয়া শাদা বকের ঘুড়ি
বাদামি ঘাটে হারিয়ে-যাওয়া খুচরো কাচবালি
থমকে থেকে চমকে-ওঠা কুঁজো জলের ফালি


খয়েরি পাখি ডুমুরডালে ল্যাজ উজিয়ে অনেক ক্ষণ। তার যে অলসতা
পাখনাজুড়ে রঙের অধীরতা
হলদে আম। কাজলি জাম। সারাটা বেলা বাতাসে গড়াগড়ি
ঝড়িতে জড়াজড়ি
অথবা বুড়ো বাতাবি লেবু। লেবুর গায়ে চলকে-ওঠা আলো কয়েক থোকা
উঠোনকোণে ছলকে-পড়া ছড়ানো ছায়া আবছামতো কালো কয়েক থোকা


আলুশাকের ডগা যেমন তেমনই আহা টলমলানো মাঠের দেহমন
দোলা দিঘির চাঁদবদন। রোদের নন্দন  
কিংবা ধরো রৌদ্র-ছেঁড়া দুপুরে ভেসে-আসা
সোঁদা মাটির গন্ধ ডাঁসা-ডাঁসা  
বনে গোছানো গাছগাছালি। নিদালি পাতা। উতালা কত লতা  
যা দেখি তা-ই নাড়িয়ে দেয় বেনো মনের আকুল অতলতা।