ঘাসফুল নেবে তুমি -ঘাসফুল!
আমি তোমাকে শিশির ভেজা একটা সকাল দিতে পারি
দূর আকাশের ওই একছরা উড়াল মেঘ
কাদামাখা একটা মাঠ, সবুজ-স্বর্ণালী ধানক্ষেত,
একঝাক উড়ন্ত বলাকা ...
কচি লাউয়ের পাতা, পাটশাক, বরবটি, শিম, সরিষা।


আমি তোমাকে কিছু দক্ষিণা হাওয়া দিতে পারি
ঘাঘট নদীর তীর শিমুল গাছের শির
চৈত্রমাসে দাদীর হাতের মাঘ মাসের খেজুর গুরের খির।


নেবে তুমি শামুক-ঝিনুক, কাশফুল, বাদাম!
আমি তোমাকে কিছু কদম ফুলের ঘ্রাণ এনে দিতে পারি
শোনাতে পারি বালিহাস-শালিকের ডাক
ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা চালাক শিয়ালের হাক।
কাঠবিড়ালের দৌড়-ঝাপ দেখবে তুমি;
নারকেল থেকে কাঠবাদাম, কাঠবাদাম থেকে ডাব
কাঁঠাল, ডেউয়া, বোলনার চাক।


আমি তোমাকে আমার অবুঝ মনটা দিতে পারি!
কচিকাঁচার পাঠের মত যা পড়াবে তাই শিখব
তোঁতা পাখির মত যা বুঝাবে তাই বুঝব
যা দেখাবে তাই দেখব যা বলবে তা-ই মনে রাখব।
যেমন হাসাবে তেমনি আমি হাসব
কাঁদতে বললেও আকাশ জুড়ে শশিকলা ঝরব
মেঠো পথের হাতটি ধরে তোমার সাথে চলব
ঘুড়ির পিছে ছুটে ছুটে সারাটা দিন কাটাব।


মুড়িরটিনে চড়ে না হয় কিছু সময় হারাব
বালাসীঘাটে পৌঁছতে পৌঁছতে হাজার বার থামব,  
নায়ের মাঝি নাইবা হলাম তবু তোমায় হাসাব।