আদুরি-
তোমার মা বাবা কে আমার সশ্রদ্ব সম্মান অভিনন্দন
স্বার্থক তোমার নাম,
তোমার মা বাবা হয়ত জানত
নিযুত কোটি মানুষের ভালবাসায় তুমি সিক্ত হবে
অফুরন্ত আদরে ভরে যাবে তুমি কানায় কানায়
এখন  তোমার সেই দিন
তোমার জন্য প্রার্থনা নামায আর্শিবাদ
মসজিদ মন্দির গীর্জা প্যাগোডায়,
আর শ্রদ্বা তাকে যে তোমাকে ডাষ্টবিন থেকে কুড়ে এনেছে,
তা নাহলে তুমি হয়ত এতদিনে মরে পচে মিশে যেতে
অথবা বুড়িগংগার জলজ প্রাণী বিলিন করে ফেলত তোমার অস্তিত্ব।
আর ধিক্কার সেই ডাইনি পাষাণি নর পিষাশ বিবেকহীন কলঙ্কিনি দারজাল মহিলাকে
যার অন্তরে এতটুকু মায়া মমতা নেই
মাত্র সাত আট বছর শিশুর ওপর এত নির্যাতন নিপীড়ন
করল কি করে ?
কি অপরাধ শিশু আদুরির !
গরীব, এই তো !


আদুরি-
তুমি আমাদেরকে আরও স্তব্দ করেছ
আমরা  বিস্মিত
আমরা মাথা নত করছি তোমার কাছে
এই শিশু বয়সে তোমার মাথার ওপর
তোমার পরিবারের দ্বায়িত্ব,
সে দ্বায়িত্বও তুমি পালন করেছ নিষ্ঠার সাথে
তুমি কোন অভিযোগ করনি তোমার গৃহকর্তীর বিরুদ্বে
নিরবে হজম করেছ সব কিছু
যদিও পুড়েছে তোমার শরীর
কঙ্কালসার দেহ যেন সত্তর বয়স।
যখন তোমার সম বয়সি আমার ছোট্ট মেয়েটি
প্রথম শ্রেণীতে পড়ে,
গেলো বর্ষায় আমার কোলে করে রাস্তা পাড় হলো,
আর তোমার কোলে তোমাদের সংসার।


আদুরি-
তুমি একা নও
তুমি অজুত নিযুত আদুরির স্তম্ভ
সব আদুরিকে আমার সম্মান
আমরা মর্মাহত লজ্জিত দুঃখিত
ক্ষমা করে দিও আমাদেরকে
তোমরা আমাদেরি ভাই বোন
নিকট আত্মিয় আপন জন
আমাদের-ই সন্তান,
তোমাদের স্পর্শে গৃহ সুসজ্জিত হয়
গৃহ-কর্তা গৃহ-কর্তী অবসর পায়
অথচ আমরা সহসা সব ভুলে যাই।
দুঃখ করনা; মূছে ফেল চোখের জল
যুদ্ধে যখন নেমেছ জীবন সংগ্রামে
তখন জয়ি হতেই হবে
বাঁচতে হবে বাঁচার মত
তোমাকে পারতেই হবে- তুমি পারবে,
গৃহ-কর্তা গৃহ-কর্তীকে শ্রদ্বা কর
সে তোমার আশ্রয় দাতা
আর পাশাপাশি আবেদন কর
অধিকার প্রতিষ্টা কর
আমাকে একটু সময় দিন লেখাপড়ার জন্য।


গৃহ-কর্তা গৃহ-কর্তী গন
দুই এক ঘ্ন্টায় কি বা এমন ক্ষতি হবে
সে তোমাদেরকে পুষিয়ে দিবে অন্য সময়
তোমরা যখন ঘুমোতে যাবে
তখন না হয় সে কাজগুলো করে দিবে।
তোমাদের এই সহযোগিতায়
ওর নিজের সমাজের তথা জাতির যদি উন্নতি হয়
তবে মন্দ কি !
অন্তত তুমি একদিন গর্ব করে বলতে পারবে
শিক্ষিত আমাদের গৃহ পরিচারক গৃহ পরিচারিকাও।


২২/০৭/১৪২০
ভালুকা, ময়মনসিংহ।