মাঘে বললে-
বাজুক ফাল্গুণের ঘন্টি
কোকিল ছাড়িবে ডাক
চৈত্রের চৈতালী
আহা কি অপরুপ বসন্ত!
তখন বসছি আমি
তোমার পাশে।


তারপর বললে-
আসছে বৈশাখে
নতুন বছরের পদার্পনে
গাছে ঝরা পাতা গজিবে
আম জাম লিচু কাঠাল
আরো কত কি পাকিবে
এরি মাঝে তুমি আমাকে
কাছে টেনে নেবে।


তারপর বললে-
আসিতেছে আষাঢ়
উঠানে আসিবে আউশ
জলজ ফুলের সুবাস
চারিদিকে পানি করিবে থৈ থৈ
তখনি ভেলা করে হারিয়ে যাবই।


তারপর বললে-
আসুক শরতকাল শরত শার্দরি
আকাশে রংধনু বনে ফুল কাঁশ
সেখানেই হবে আমাদের প্রথম বাস।


তারপর বললে-
আমাদের প্রেম সামনের হেমন্তে
ক্ষেতের সুরভি গন্ধে ছন্দে
আবদ্ধ করিব চির বন্ধনে।


তারপর বললে-
পৌষের হিম শীতে
ভোরের গা ঢাকা শিশিরে
অবশ্য অব্শ্যই ঠাঁই পাবে তুমি
আমার এই বুকে।


এভাবে এক এক করে
কেটে যাচ্ছে কত হেমন্ত বসন্ত
তবু তুমি আসছ না
ময়ূরী পেখম খুলছে না।।



১৩/০৩/১৯৯০
জুম্মা পাড়া, রংপুর।