হেমন্ত কাল এলে-
আমার মন এখনো ছুটে চলে
শেখা না শেখার লুকোচুরিতে
বাড়ির সামনে সাত গাঢ়ার বিলে।


বিদ্যালয় ছুটির পরে-
কোদাল পাষুন ডালি হাতে
ইদুরে কাটা ধানের শিষের খোঁজে
পাড়ার সকল ছেলে মেয়ে মিলে-
কল্যাণপুর, ঢ্যেকার বাণ্যির জন্যে,
প্রতিযোগিতাও হতো এই মৌসুমে-
কে কত বেশি ধান সংগ্রহ করতে পারে।
কেসুর উঠাতাম ফাঁকে ফাঁকে-
ক্লান্তি, তৃষ্ণা দুটোই মিটতো এতে।
কতদিন ফিরেছি সন্ধার পরে-
বকুনিও খেয়েছে এ কারনে,
পাড়ার সকল ছেলে মেয়ে এক সাথে-
বিদ্যালয়েও হাজির হতাম ঠিক সময়ে।


অবসরে কত সময় কেটেছে
তাতীর ভিটাতে চালতার তলে-
হা-ডু-ডু ফুটবল গোল্লাছুট কানামাছিতে,
কখনো চেংগি পেন্টির সাথে।


হারিয়ে যাওয়া ভেড়ার খোঁজে
এপাড়া ওপাড়া বেড়াতাম চষে-
এ সুযোগে নতুন সঙ্গি হয়ে যেতো অনেকে,
কুশল বিনিময়ও হতো পুরনোদের সাথে।


পুষনা ভাতের কথা ভুলি কি করে!
নিজ হাতে নাড়া দিয়ে রান্না মাটির পাতিলে,
কলা পাতার পাতে ডাল যেতো পড়ে,
সারারাত কাটানো ডেরার ভিতরে।


অথচ এখন মাঝে-মধ্যেই আমণ্ত্রণ আসে
চার তারা পাঁচ তারা হোটেলে-
কোরমা পোলাও তেহারি বিরিয়ানি থাকে
চেনা অচেনা আরো কত কি সাথে,
তবুও কি কোন তুলনা হতে পারে!
পুষনা ভাতের ডিমের কুসুমের পাশে।


২৯/০৭/১৪২০
ভালুকা, ময়মনসিংহ।