এক বনে পালাক্রমে চলছিলো
শিয়াল সিংহ ও বাঘের রাজত্ব,
শিয়াল চতুর প্রকৃতির,
পন্ডিত মামা-
উপস্তিত কিছু ফন্দি আঁটা,
বনের সুস্বাদু ফলগুলো খাওয়া,
সকলে মিলে সরগরমে থাকা।


সিংহ ও বাঘের হুঙ্কার র্গজনে-
সমস্যায় পড়তে হত মাঝে-মাঝে,
হুমকি ধামকি প্রতি নিয়ত ব্যাপার।
তবুও যোগ্যতা কলা কৌশলে-
দীর্ঘদিন তুলনামুলক ভাল-ই চালাচ্ছিল,
অবশেষে একদিন রাজত্ব হারালো।


তারপর কিছুদিন অন্য বনে থেকে,
ফিরে এলো নিজের বনে।
তারপর থেকে কখনো বাঘের সাথে
কখনো সিংহের সাথে কৌশলে চলে,
নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করলো,
সমান তালে হুঙ্কার-গর্জনও দিলো,
টক্কর দিলো, হোচটও খাওয়ালো,
প্রতিপক্ষ উপলদ্ধি করলো,
অনুসারিরা- এদেখে অনুপ্রাণিত হলো।


হঠ্যাৎ একরাতে কি মনে করে !
কোন খেয়ালে !
লেজ গুটে নিলো,
অন্যের সাথে একই সারিতে বসে পড়লো,
নিজের একটু আরাম আয়েসের জন্য।


ভাবলোনা প্রজাদের আকাংখার কথা!


অথচ নির্ভিক সহিষ্নু মমত্ব বোধ হলে-
বাঘ ও সিংহকে কুপোকাত করা সম্ভব ছিলো,
সে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দুটোই ছিলো।


তার কিছুদিন পর;
দেখতে পারলো,
বুঝতে পারলো,
আমি এ কি করেছি !
আমি ভুল করেছি !
আমি বে-ঈমান।
আমি বোকা।
আমি এখন সামনের সারিতে নই,
আমি পথের কাঁটা,
আমি পিছনের সারিতে-
আর অন্য সাধারনের মতো।  


১১ অগ্রহায়ণ'১৪২০
২৫ নভেম্বর'২০১৩
২০ মহররম'১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ।