বলো, কিছু বলো!
নাই-বা হাসো, একটু দেখো -
নয়তো কাদো!
তবু কিছু বলো -
ঘোমটাটি ফেলো,
জমাট বাঁধা পাথরগুলো -
আমার এই-খানে ঢালো,
প্রত্যাশার বানে কুঁয়াশা খোলাসা করো!
কাজল কালো আঁখি দু'টি তোলো,
আজ প্রতিটি মূহর্ত -
এক একটি গ্রহ নক্ষত্র।


প্রজাপতি ফড়িং মরিচিকা
আজ সবে মেলেছে রঙ্গিন ডানা -
চন্দ্র মল্লিকা অঝুত নিঝুত তারা
যতো পাহাড় হিমালয় ঝর্ণা ধারা
তাঁদের আর নেই কোনো বায়না,
আমার মনে দুলছে তোমার গয়না
জানপাখি! একবার কথা কওনা?
প্রাণটা যে আর জুড়ায় না!


রাঁঙাপা! নুপুর কেনো সাপুর সুপুর
চায় যে- গো মন ঝুমুর ঝুমুর!
হাতের চুড়ির মহুয়ার সুর,
কাঁচাহলুদের ঘ্রাণের সুখ!
তোমার কেশের বহর কতো অপরুপ!


এই! তোমার হাতের কয়টি আঙ্গুল?
রেখাগুলোতে কি- ছেপেছে দু'কুল!
গলায় ওটা কি পড়েছো, রুপা না বকুল?
নোলকটা হয়তো গো পিতল!


এখন রাত ভরা দুপুর-
নিরব নিস্তব্দ রাঘবেন্দ্রপুর,
তবে কি বাসী হবে গো বাসর!
একটু পরেই ডাকবে মোরগ, রাত প্রহর।।


সোমবার
২০ শ্রাবণ, ১৪২১
০৪ আগষ্ট, ২০১৪
০৭ শাওয়াল, ১৪৩৫


ভালুকা, ময়মনসিংহ