হে অচেনা অজানা পথিক!  
শাঁড়ির ভাঁজ আঁচল ছুঁই ছুঁই মাটি ...
আপনার খসে পড়ছেনা কেনো এক্ষুনি কপালের নক্ষত্র টিপটি
কিংবা হাত ফসকে ভ্যানিটিব্যাগ অথবা যে কোনো কিছু,
কুড়িয়ে নিয়ে বলতাম এই যে ম্যাডাম আপনার এইটি।
আজ তার তেমন কিছু একটা হচ্ছেনা কেনো-
কেনো দিচ্ছেন তিনি বারবার বাস পানে উঁকি,
এই তো মাত্র ... মাত্র- দাঁড়ালেন!
আজ না হয় একটু আধটু দেরিই করলেন
কী এত তাড়া আপনার ...... ?
প্রতিদিন হয়ত আগেই ফেরেন, আজ সন্ধ্যে হলেও নেই কোনো ভয়
আজ আমি আপনার বিনা বেতনের অতন্দ্র প্রহরি।
অপরিচিত হলেও নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করতে পারেন;
কেউ চোখ তুলে দেখুকনা একবার!
তার আস্ফালন কত?  মিটে দেবো চোখের স্বাদ?    


দুপুর রোদ! যত ঘামছেন তত বেশি আপন হচ্ছেন!
ভেতরের আসল রুপটাই ছড়াচ্ছেন ...
ভ্রু কুঁচকে আপনার অজান্তে আমায় রাঙাচ্ছেন!
ছি! ছি! ছি! ... মিছে মিছেই এসব কি ভাবছি!!
সেই তখন থেকেই তাকিয়ে আছি এলোমেলো কেশে!
একবারও চাইলেনা ফিরে- পিছনে দাঁড়িয়ে কে- ?
মহিলা- না, আমি কোন পুরুষ!  

ইশ! আজকের যানজটটা যদি উত্তরা-এয়ারপোর্ট-মহাখালি ছেড়ে যেতো,
বিজয় সরণি অবধি হলে আরও ভালো হতো!
ইশ! এখনও তো জানা হলোনা;
কোথায় আমার এই বাসের শেষ গন্তব্য-  
মিরপুর সাড়ে এগারো না কল্যাণপুর?


শনিবার
৩১ কার্ত্তিক, ১৪২১  
১৫ নভেম্বর, ২০১৪
২১ মহররম, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ