ভালোবাসার একাত্তর
সফলতা স্নিগ্ধ খুঁজতে খুঁজতে ...এতদুর
একশ্রেণি ছাড়া সকলে আজও ক্লান্ত পরিশ্রান্ত,
তুমি আরও ... আরও কতদুর?  
আজও জাবর কাটে হায়েনারা
মাথা উঁচু করে হাঁটে মিথ্যে আধিপত্য।


এক-কন্ডাক্টরে জিম্মি গাড়ি ভর্তি প্যাসেঞ্জার
মানবতা ডুব দিচ্ছে দৈনন্দিন পঁচা ডোবায়
শিশির বিন্দুগুলোও কেমন যেনো মনমরা!
শঙ্খচিলদের বিচরণ আজও সরগরম।
ভালোবাসার একাত্তর; কবে ছড়াবে সুঘ্রাণ
বাংলার আকাশে-বাতাসে জল-স্হলে,
কবে পুলকিত; গ্রাম নগর শহর বিরান ভূমি।


আফসোস! বড় আফসোস! নগ্ন লজ্জা;
বিচারপতি আদালতে ডুকরে কাঁদে- নিজের ফাঁদে,
ভাবে- নিজের বিচারের জন্য,
কার কাছে করবে সে ফরিয়াদ?
ফেলানির লাশ সীমান্ত তারকাটায়।
এই আমাদের সভ্য সমাজ; শ্লীতাহানি বলবোনা!
ভেবে পাইনা কি হতে পারে এর নাম?  
মন্ত্রীপাড়ার বাল্য সখিনার যোনি ছেড়া লাশ।


এই আমাদের স্বাধীনতা!
দিন দুপুরে ভরা রৌদ্রে খোলা মাঠে
পুলিশ স্টেশনের ফটকে অস্ত্রবাজী;
খুনখারাবি অতঃপর গাড়ীসহ লাশ পুড়ে ছাই  
উপস্হিত হাজার জনতার মাঝে; নির্বাক, সকলে জড়সড়!
কই আজ মুক্তিযুদ্ধ? কোথায় স্বাধীনতা?
নির্লজ্জের মতন বলি আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
শহিদ গাজী ছিলো পূর্ব পুরুষরা, মা বীরঙ্গণা।


ভালোবাসার একাত্তর
এই আমাদের স্বাধীনতার সুফল;
বিনাভোটে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত চেয়ারম্যান!
বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই খেতাব, শ্রেষ্ঠ খেতাব?


বাংলাদেশ, তুমি কার হাতে সুরক্ষিত সুসংহত?
আজও তা অস্পষ্ট খেই ছাড়া পথ ভ্রষ্ট।

এই আমাদের শিক্ষিত দেশ প্রেম!
আজও গৃহবধূ জ্বেলে রাখে চূলো
ম্যাচের মাত্র একটা কাঠির খরচ বাঁচাবার নিমিত্তে,
হয়ত এটাই আমাদের স্বাধীনতা!


ভালোবাসার একাত্তর  
টেনে ছেঁচড়ে নিয়ে যাবে আরও কত... দূর,
আরও... কতোদূর ......
কোথায় শেষ হবে সে পথ  
.....................................।।



বুধবার
০৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২১  
১৯ নভেম্বর, ২০১৪
২৫ মহররম, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ