অনেক অনেকদিন পর
লাগাতার আটটি রাত
দু’জন একসাথে সারাক্ষণ
মনে পড়ে তোমার?
আমার তো মনে পড়ে
অন্ততঃ তিন বছর পর
শীতের ছুটি; গ্রামের বাড়ি-
বন্ধু বান্ধব চাচা জেঠু
মেজো আপা বড় আপা ছোট সেজোর বাড়ি,
বড় ভাই-ভাবী; পিতৃ সমতুল্য
দাদা-দাদী তো আছেই
আর শিশির ভেজা সকাল।


সাগর আইটি ইঞ্জিনিয়ার
কনে দেখার পালা;
মিলেও গেলো “মালা” সদ্য স্কুল শিক্ষিকা
ফাইনাল ইয়ারের সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্রী
সোনায় সোহাগা দু’জন দু’জনার-
সব ঠিকঠাক!
বাকি দিন তারিখ নির্ধারণ আর নিরীক্ষণ
হঠাত বিভ্রাট;
মুরুব্বিদের কথা কাটাকাটি, মিললনা মন
কি এক ছাই পাশ বিষয়, কিছুই বুঝলাম না
কি হতে কি হয়ে গেলো!
কিছু কিছুই নয় নিয়ে, স্হগিত,  
হলোনা বর কনের বাঁধন,
কি আর করা, বিধাতার লিখন-
এখনও ওদের ফুল ফোঁটেনি হয়ত!


পরেরদিন মহাস্হান গড়;
সুচি; আব্বু আম্মু আর ভাইয়া শুভ তোমরা যাও-
আমার পা চলছেনা আর!
তাই হলো;
শাহ সুলতান বলখীর মাজার জিয়ারত
বড় পাগলী, হাফিজুর রহমান(হরিহর পাল)সহ
আরও অনেক অনেকের ...
দেখা মিলল মাজারের পাশেই কাটাবিহিন বড়ই গাছেরেও,
তারপর বেহুলা লক্ষিণদ্বার প্রদক্ষিণ-
অতঃপর জাদুঘর, গবিন্দ ভিটা, জীবিত কুপ।
রাতেই রাগবেন্দ্রপুর; শুভ সুচির নানু বাড়ি
কবুতর গোস, ঈদ গোস, মোরগ, হাঁস, মাস কলাই, পিঠা পায়েস...


আজ শুক্রবার অফিস অভিমুখে যাত্রা
কাল থেকে যথারীতি সেই চির চেনাজানা
উত্পাদন মাননিয়ন্ত্রণ কমপ্লান অতঃপর রপ্তাণী।