চিরলতা, তোমার বাগানে কতো কলি, ফুল ফল
কোনোটা উচু, কোনোটা নিচু আবার কোনোটা সমতলের
এক একটার এক একটা স্বাদ, এক এক রকম ঘ্রাণ
কোনটা রেখে কোনটা দেবে তুমি, একটা ছাড়া আর একটা অপূর্ণ
সবই তোমার যেমন প্রয়োজন, তেমনি আমারও
সকালে এক রকম, দুপুরে অন্যটা, সন্ধ্যায় গল্প টল্প অল্প
আর রাত্রে শেষটা!
কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটাকে ফিরাই!


চিরলতা, তোমার ঠোঁটের কোণের আলতো ছোঁয়া
লিপষ্টিকের গোলাপী দাগ তাজা শার্টটিতে মাখা মাখা
আজ অবধি দেইনি লন্ড্রিতে-
যদিও তুমি দেওয়ার জন্য তাগাদা দিয়েছো অনেকবার
তবুও দেইনি!  
এতদিনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো!
যখন তুমি অভিমান করে মাঝে মাঝে দু’একদিন করোনা দেখা
কিংবা পাশের ঘরে ঘুমাতে যাও একা একা-
তখন আমি ওই শার্টটি গায়ে দিয়ে ঘুমোতে যাই
আর তোমার ওই ওড়না জামা বুকে জড়িয়ে স্বাদ মিটাই
তা না হলে আমার চোখ তন্দ্রা ছোঁয়না মোটেই!


চিরলতা, অফিসের কাজের ভিড়ে যখন তুমি বেশি ব্যস্ত হয়ে যাও
সময় দিতে পারোনা আমায় কখোনো বা আমিও পারিনা যেমন
তখন তুমি আরও বেশি মনে পড় জ্বালাতন করো আমায় অনেক অনেক গুণ!
এক একটা মোমেন্ট মনে হয় এক একটা বছর


চিরলতা, তোমার কি আমার মতন এমন হয়না?
কলিগুলো করেনা দোলাদুলি, অযথা ফুল ঝরে কার লোকসান!  


বৃহস্পতিবার
১১ পৌষ, ১৪২১  
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪
০২ রবিউল আউয়াল, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ