দাঁড়াই, দাঁড়াই, হাত বাড়াই
রাস্তার মোড়ে দাঁড়াই
ফুট পাথে দাঁড়াই
মাঠে ময়দানে দাঁড়াই
ক্ষেতে খামারে দাঁড়াই
বুঝে দাঁড়াই, না-বুঝে দাঁড়াই
স্কুলে দাঁড়াই, দাঁড়াই-  
বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়াই  
বিলে-ঝিলে দাঁড়াই
রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়াই
শীত-কুয়াশা-মেঘে দাঁড়াই
বালুচরে দাঁড়াই,
দাঁড়াতে দাঁড়াতে বসে পড়ি
আবার দাঁড়াই-  
পাড়ি দেই তুষার হিমালয়
আস্তানা হিরাগুহা, উপসনালয়
আর খুঁজি- খুঁজি- খুঁজি
তোমাকে খুঁজি,  
শুধু তোমাকে খুঁজি-
উত্তরে খুঁজি, দক্ষিণে খুঁজি
পূর্ব-পশ্চিমে খুঁজি
ঈশান-নিশান, বায়ূতে খুঁজি
গাছের ডালে খুঁজি পাতায় খুঁজি
মূলে খুঁজি- শূলে খুঁজি
খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত শ্রান্ত,
আবার ছোঁটার পালা অনবদ্য
অতঃপর হারিয়ে যাই।
হারিয়ে যাই, হারিয়ে যাই  
কোঁথায় হারিয়ে যাই  
নিজেরই জানা নাই
আবার ঘুরে দাঁড়াই।  
চোখ বুলাই চোখ বুলাই
যা দেখি তাই দেখে ভুলে যাই
নিজেকে নিজে ভুলে যাই
আবেগ আপ্লুত হই
ঘটা করে হাসতে চেয়ে কাঁদি,
কাঁদতে কাঁদতে হাসি
অলৌকিক তোমার লীলাভূমি
এই মহামারি রোগ বালাই,
এই কিছুই নাই।
হাত বাড়াই হাত মিলাই হাত বাড়াই।  
পথ হারাতে পথ পাই
তোমাকে ভাবলেই পথ পাই,
অকথার বানে কুবন পুড়ে ছাই
তোমার টানে মন ফিরে পাই।
গিট্টি ছুটাই ভূত তাড়াই ভিত্তি বাড়াই
বলাকা উড়াই, শালিক উড়াই
পায়রা দোয়েল শ্যামা চড়ুই।
ফুল ছিটাই ফুল ছিটাই- ফুল ছিটাই  
সুবাস ছড়াই, ভুল গুটাই-
হাত বাড়াই, হাত বাড়াই
তোমার কাছে হাত বাড়াই,  
দু’হাত বাড়ালে অগনিত পাই;
কুল কুড়াই মুল কুড়াই পুল কুড়াই
হাত বাড়াই হাত বাড়াই হাত বাড়াই।



মঙ্গল বার
০৬ মাঘ, ১৪২২
১৯ জানুয়ারি, ২০১৬
০৮ রবিউস সানি, ১৪৩৭


ভালুকা, ময়মনসিংহ