মানব? মানবতা? ধ্ব্ংস? আমি!
নিথর নিস্তব্দ ঘুমিয়ে আছ; কি নিলজ্জ!
আমি এত বড় হতভাগা।
আমাকে ঘর ছাড়া করে
আমাকে ভিটা ছাড়া করে
আমাকে স্বজন হারা করে
আমার প্রিয়তমাকে আটকে রেখে
আমার গর্ভের শিশুকে নিধন করে
আমার মাকে হত্যা করে
আমার বাবাকে হত্যা করে
আমার শিমুল গোলাপ রক্ত নিয়ে যে খেলা খেলছে জান্তা
জানা কি আছে এর পরিণতি! কত ভয়াবহ শেষটা?

তোমাকে আর জাগতে বলবোনা, তুমি আরো ঘুমাও
এখন ঘুম তোমার বড় বেশি প্রয়োজন
তুমি এখন মাতাল উম্মাদ
তুমি এখন বিবস্ত্র গিরগিটী
তুমি এখন হিংস্র পশুর অধম।
আরাকান-রাখাইন-রোহিংগা পদে পদে লাঞ্জিত
কত হীন-নিচ তোমার পদক্ষেপ
চৌদ্দশত শিক ধিক তোমায়!
ভূলন্ঠিত শত কুট কল্পনা
অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষন!
অতঃপর ক্ষ্যান্ত নও তুমি লাশের বুক ফেড়ে পুনরায় হত্যা
কি নিশংস!
নিরাপদ আশ্রয় সন্ধানেও কঠিন প্রতিবন্ধকতা;
সীমানা জুড়ে মাইন স্থাপন,
একই রক্ত মাংসে গড়া ওড়াও মানুষ।


কি ওদের অপরাধ?
ওরা কোরাণ পড়ে
ওরা মসজিদে মধুর সুরে আযান দেয়
ওরা নামায কায়েম করে
ওরা এক আল্লাহ্‌কে ডাকে
ওরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনা
ওরা আরাকানের স্বাধীনতা চায় –এইতো।
কত শত বছরের পুরাণ ওদের পৈত্রিক ভিটা
অথচ তাদের নাম আজও রোহিঙ্গা?
তোমার ভূমিষ্ঠ কত সাল, কিসে তোমার নোবেল প্রাপ্তি।


দূর্ভাগ্য কার আরাকানবাসির না তোমার;
তোমার দেওয়ানিতেই অমানবিক রান্নাবান্না।


সব ধরনের নিলজ্জকে হারিয়ে
সব ধরনের বেহেয়াপনাকে ছাড়িয়ে
সব ধরনের অপশক্তিকে প্রশয় দিয়ে
সব ধরনের অশ্লীল মানবতাকে কবর দিয়ে
যা রচনা হচ্ছে তার কোথায় দাড়ি, কমা, সেমিক্লোন।


তোমার ধর্মগ্রন্থ কি বলে?
তোমার ধর্ম গুরু, তোমার ধর্ম যাজকরা; জীব হত্যা মহাপাপ
তুমি অবশ্য মানুষ হত্যা করছনা- হত্যা হচ্ছে রোহিংগা, মনুষত্ব।
রোহিংগা মুক্ত করছ আরাকান, মায়ানমার।


রোহিঙ্গা কে; অং সান সুচি তুমি না রাখাইন?