স্বাধীনতা তুমি আজ শোসকের হাতে কারাগারে বন্ধি!
স্বাধীনতা তুমি আজ বিবেকবানদের বিবেকে বন্ধি!
স্বাধীনতা তুমি আজ বুদ্ধিজীবিদের বুদ্ধিতে বন্ধি!
স্বাধীনতা তুমি আজ অন্যায় অত্যাচারের বেড়াজালে বন্ধি!
স্বাদীনতা তুমি কাদের সাথে করেছো গোপন সন্ধি?
এতো যুগ পরেও পাওনি মুক্তি।
পথে ঘাটে মাঠে রাত্রী যাপন করে আজও সভ্য শহরের অর্ধেক জনগোষ্ঠি
তোমরা বলো শীতার্ত মানুষ কাঁপে, আমি দেখছি কাঁপছে বাংলাদেশের ভিত্তি।
জাতিতে জাতিতে আজ কতো বৈষম্য! কেউ গড়ছে রাতারাতি ডজন ডজন বাড়ি
সকালে বুগাট্টি! বিকালে রোল্রেসি! সন্ধ্যায় জাগুয়ার।
তবুও তাদের বাড়ির দাঁড়োয়ান-গৃহকর্মীর বাসস্হানের টানাটানি;
অতি কষ্টে জোটে তাদের আবাস বস্তির ডেরায়
কারো বাসার সিড়ির এক কোণে-
কারো বড় জোর রান্না ঘরের মেঝেতে কিংবা বারান্ধায়,
ওদের লজ্জা স্হান নাই বুঝি!


স্বাধীনতা তুমি আজ বড্ড আহত!
আজও দিতে পারোনি;
কোমলমতি বালিকাকে বখাটের হাত হতে, বৃদ্ধের লিপ্সা হতে নিস্তার
মুর্খ মোল্লাদের দলিলহীন ফতোয়া, অকারনে বেত্রাঘাত।


স্বাধীনতা তুমি হয়ত ভুলে গেছো ন্যায়ের প্রতিক,
বাঘে বাঘে জমে ওঠে প্রাণবন্ত প্রতিযোগিতা! মহিষ আর ছাগলে নয়!
বেজন্মারা কি করে আজও বলে বড় বড় নীতি কথা?
ওরা যতোই বাধুক সোনা-রুপা-মুক্তা দিয়ে পুকুরের ঘাট
ওরা যতোই ভরুক কালো গাভীর দুধের সরোবর
ওরা যদিও স্নান করে সেথায় দল বেধে একশো আট
তবুও দূর হবেনা ওদের গায়ে মেখে রয়েছে যে দুর্গন্দ্ধ সাট।


সুজন্মারাও কালের বিবর্তনে বেজন্মা হয়
পিতার আদর্শকে যখন দুরে ঠেলে দেয়
শিক্ষার আজ বহুল বহুল বেহাল গতি!
শুধু মুখে মুখে কাগজে কলমে উন্নতি! অতলে নিমজ্জিত তলাহীন দূর্নীতি!
নিয়োগে বেড়েই চলছে দেধারচে সাদা পোষাকে অর্থলগ্নি।


স্বাধীনতা;
আজও বিলুপ্ত করতে পারোনি আদিম-মধ্য বর্বরতা; জমিদার প্রথা!
টাইটেল বদলেছে মাত্র; অসাধু কিছু শিল্পপতি!
তারা শুধু শ্রম চুষেই ক্ষ্যান্ত নয়, পানিপান্তা ন্যায় মূসক ফাকি-
নিয়মনীতির নাই বালাই, চলছে কারখানা, করছে পরিবেশ দূষন।
এসবের দ্বায়িত্ব কার?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট সমাজ সেবক?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট চিকিত্সক?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট যুক্তিবাদি, মুফতি?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক লেখক?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট মুক্তমনা লেখক?
কোন বাহানায় এড়াবে এ দায়; হে বিশিষ্ট সাংবাদিক?


আর রাজনীতি!
এখন নষ্ট, মহানষ্ট? বস্তি গলির গালির একটা পদবি?
সে আজ মিথ্যাচার, ধৃষ্ঠতা, ইতিহাস বিকৃতি, লিপ্সা, ক্ষমতার লড়াই।


স্বাধীনতা;
তুমি হয়ত ভুলেই গেছো একাত্তর!
দূদক, মানবাধিকার সবই আজ অকার্যকর, বাকরুদ্ধ-
হাত পা গুটানো- অদৃর্শের কাছে সোপর্দ, সত্য কথনে রাজাকার-দেশদ্রোহি!
তাত্ক্ষনিক উৎখাত, হুমকি, হামলা, মামলা, কারা বন্ধি
আর গুম, খুন! অন্তরালের ইতিহাস।  


স্বাধীনতা;
আমি তোমার কাছে সুখ বিলাস চাইনা!
চাইনা আরাম কেদারা দামী বাড়ি নিশান গাড়ি
আমার চাওয়া পাওয়া অতিব নগন্য, সাধারনের জন্য-
আমার চাওয়া পাওয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের আর্তনাদ
আমার চাওয়া পাওয়া রফিক বরকতের তাজা রক্তের শপথ
আমার চাওয়া পাওয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ লক্ষ শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন  
আমার চাওয়া পাওয়া বাক স্বাধীনতা
আমার চাওয়া পাওয়া সবার জন্য সুস্বাস্থ্য, সুস্থ সমাজ-  
ভেজাল মুক্ত খাদ্য, পরিমিত বস্ত্র, নির্মল বাতাস-
আমার চাওয়া পাওয়া সুশাসন
আমার চাওয়া পাওয়া
আর কাজ শেষে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা, নৈসর্গিক মৃত্যু।


(Bugatti car এবং Rollroyce car বর্তমানের বিলাস বহুল দামি গাড়ি)


সোমবার
০১ পৌষ, ১৪২১  
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৪
২১ সফর, ১৪৩৬


ভালুকা, ময়মনসিংহ