স্বপ্নহীন দুচোখ ডুবে মরে যায় সাগরে।
সাধারণ মানুষ তবুও স্বপ্ন দেখে,
বাস্তবতার রাঙা চোখে —
স্বপ্ন অপূর্ন হওয়ার সত্যতাকে উপেক্ষা করে,
জীবনের রাস্তা কিংবা রাজপথে
যারা মিশে যায় গরম পীচের উগ্রতায়,
তাদের স্বপ্নের গন্তব্য তবে কেন শুধুই শূন্যতা?
একটা গল্প বলি তবে —
ছেলেটা হেরে যেতে চেয়েছিল —
তিল তিল করে গড়ে তোলা চাকরির স্বপ্ন যখন
টাকার পদতলে মারা পড়ে,
তোমরা বুঝবে না।
অনুভব করবে না সেই কষ্ট।
এমন কি জানতেও পারবে না!
নিউরোটক্সিনের মতো শক্ত বিষ পান করে,
যারা ঘুমিয়ে যায়,
তাদের মরন ঘুমে কেন থাকে না,
সভ্যতার স্বপ্ন!
খেতে পাওয়ার স্বপ্ন!
আনন্দের স্বপ্ন!
কষ্টগুলোকে ঝেড়ে ফেলে আরো একবার,
হাসতে চাওয়ার স্বপ্ন!
আচ্ছা বলতো এভাবে মরে গিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে
হেরে যাওয়া কি কোন অংশে মন্দ হতো?
সাধারণ মানুষের শুনেছি প্রেম থাকতে নেই।
তবে তাদের প্রেমা-স্বপ্ন আছে ভীষণ।
কারো আছে তুমুল বর্ষায় একসাথে ভেজার ইচ্ছে।
তো কারো আছে—
রৌদ্রে ছায়ার মতো আগলে রাখার বিলাপ।
তবে দিনশেষে আত্মহনের শেষ বিষটুকু পান করে
সাধারণ মানুষ আবারও চাপা পড়ে যায়
যন্ত্রণার অতুলকূপে—
চলমান অবকাঠামোয় কি তাদের কোন প্রশ্ন নেই?
না — নেই।
সাধারণ মানুষ সাধারণই থাক।
অসাধারণ হওয়ার জন্য যে
প্রথমে সাধারণ হওয়ার দরকার পরে।
তবে তাদের বিশ্লেষণ করে একটা কথা মনে হয়েছে।
কিছু বলার থাকলে হয়তো তারা বলতো—
‘একটা সুইসাইড নোট লিখে দেবে।’
পরে আবারও সংশোধন করলাম।
পাপ সে তো আবার সাধারণ মানুষ করে না।
তোমরা যখন জেসমিনের মালা কিংবা
গাঁদা ফুলের ম ম গন্ধে স্বপ্ন জাগাও,
সে স্বপ্ন সাধারন মানুষ দেখে না।
গোলাপ কিংবা জেসমিনে
সাধারণ মানুষের কি আসে যায়?
তারা তো জানে তাদের স্বপ্ন শেষ হবে,
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘুম কিংবা তুমুল বিদ্রোহে।