ও পৃথিবী শুন তুমি আমার করুণ কাহিনী
তোমার বুকে অসহায় আমি কাটে দিন-রজনী।
আমার স্বর্গময়ী মাতা আমারে-
কেন ফেলে দিল রাস্তায়?
তাঁর বুকে কি কোন দয়া ময়া নাই?
এই ভেবে পাই-
নোংরা বস্তায় পড়েছিলাম রাস্তায়,
একটা পাগলা কুকুর-
বস্তাটি কামড়ে ধরে দিয়েছিল দৌড়,
হঠাৎ থেমে গেল আমার ‍‍‍‍ওয়াও কান্নায়
পশু হয়েও বুঝেছিল আমি কত অসহায়!
আমাকে ফেলে সে-
চলে গেল মমতার ঘোরে,
নিয়ে এল দুধের বোতল থেকে অদূরে।
আমার প্রাণ বুঝি যায়!
ঠিক এ সময়ে দুধ খাওয়ালো আমায়,
একি অপার খেলা! খোদা তোমার বসুধায়।
কেটে গেল পাঁচটি বছর-
রয়ে গেল সব,
আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল পশুমাতা,
করি তার অনুভব।
ও পৃথিবী তুমি কি আজো আমাকে বুঝেছ?
নাকি বুঝ নি, বুঝতেও পার নি?
আমি কি চাই?
বহুবছর ধরে লাথি-ঘুষী খেয়ে হয়েছি অমানুষ।
আমি তো অমানুষ হতে চাই নি।
কি দোষ আমার?
কেন বা হলাম আমি নর-নারীর লালসার ফল?
আমার গায়ে কেনই বা লাগাল তারা কলঙ্কের যাতাকল?
ও পৃথিবী তুমি উত্তর দাও, উত্তর দাও,উত্তর দাও।
তুমি জান না তোমার বুকে আমি কতটা অসহায়!
পরকালে যদি আমি মা-বাবার দেখা পাই,
অভিমান নাই কোন-
তাদের বরণ করব আমি ভালবাসায়।
আমার করুণ আশা পূরণ করো গো অন্তরযামী
আখিরাতে হতে পারি যেন গিলমান আমি।