অনুপমা তুমি, কখনো সঞ্চারিনী
মনোহরণী তুমি, কখনো মায়াবিনী॥


তোমা দীঘল কেশে মলয়ের দোলা
হয়ে উদাসিন আমি মন-ভোলা,
হরিণী নেত্রে তোমা অপলক দৃষ্টি
গগণ থেকে তাই নেমেছে বৃষ্টি।


অনুপমা তুমি, কখনো পরবাসিনী
যামিনী তুমি, কখনো সোভাসিনী॥


তোমা বদনে আছে মিষ্টি-মৃদু-হাসি
অধর-যুগলে তা থাকে ভাসি,
পুলকিত চিত্তে এনে দিয়েছো বসন্ত
প্রীতিময় তরীতে আমি হয়েছি অশান্ত।


অনুপমা তুমি, কখনো চির-যৌবনা
স্রোতস্বিনী তুমি, কখনো মুক্ত-ললনা॥


ছুটে চলেছো তুমি মুক্ত বিহঙ্গের মতো
পুষ্পপুঞ্জ লুটে পরেছে পায়ে শত-শত,
কখনো বা তুমি মোরে করেছো সিক্ত
আবেগটাকে পারি নি রাখতে সম্পৃক্ত।


অনুপমা তুমি, কখনো চাঁদনী
আবেশিত তুমি, কখনো কামিনী॥


ভুবনে ছড়িয়েছো তুমি শত প্রেমাশা
মুক্ত করেছো মোরে থেকে বন্দিদশা,
এনে দিয়েছো তুমি প্রেম-স্পন্দন
গড়িয়েছো তুমি দৃঢ় প্রীতির বন্ধন।


অনুপমা তুমি, কখনো স্বপ্নচারিণী
রমণী তুমি, কখনো সঞ্জিবনী॥


তোমা এ প্রেম-কাহিনী হয় না খন্ডন
সারাজীবন জ্বেলে রাখি প্রেম লন্ঠণ,
তুমি তো দিয়েছো আবেগ-অনুভূতি
তাই তো বেড়েছে প্রীতির সু-গতি।


অনুপমা তুমি, কখনো গৃহিনী
হরিণী তুমি, কখনো বরণী॥


তুমি স্বপ্ন জাগাও আমি অকারণ
ভালবেসে তুমি ফুটাও পূসন,
প্রীতির স্বর্গীয় আলয়ে তুমি সুর
তোমা ভালবাসা ভাসে সুমধুর।


অনুপমা তুমি, কখনো কামিনী
মনোহরণী তুমি, মোর সহধর্মিনী॥


রচনাকাল:  ২৮/০২/২০১৮ ইং