একি ধ্বংসনীলা হচ্ছে পৃথিবীতে!
বিধ্বস্ত চারপাশ, আর্তনাদ সবার-
“বাঁচাও, বাঁচাও, পৃথিবীর এ নরক থেকে।
মুক্তি পেতে চাই মোরা।”
তবুও শুনলো না পাষাণ হৃদয়
দুধের শিশুকে মেরেও ক্ষান্ত হয়নি তারা।
দুধের শিশু কি বুঝে আর?
রেহাই পায়নি সেও-
রক্তাক্ত সারা দেহ তার।
কল্পনায় শুধু বলছে ডেকে-
“এ ধ্বংসনীলা এখন থামাও।”


বার্মার বর্বরতায় কত শিশু, নারী-পুরুষ!
প্রাণ দিচ্ছে আরাকানের বুকে।
কোথাও কোথাও যায় যে শোনা-
সেই সব করুণ আর্তনাদ-
“কেউ আছো? আমাকে নয়
আমার সন্তানকে বাঁচাও।”
মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ!
একি ট্রাজেডি! এ তো মর্মান্তিক!
মায়ের কোলেই যেন শিশুর শেষযাত্রা।
বাণীহীন মাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
সে রোহিঙ্গাদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে-
এক রক্তের সমুদ্রে।


একি সহ্য করা যায়?
স্বজাতির প্রতি এমন আঘাত!
যে আঘাতে জর্জরিত রোহিঙ্গার আরকানের মতো
অন্য আরেক রাষ্ট্রও।
“আসুন অসহায়ের তরে সাহায্যের হাত বাড়াই
বার্মার বর্বরতার প্রতি রুখে দাঁড়াই।”


রচনাকাল: ০৭/১০/২০১৭