ঝরে যাওয়া একটি কুঁড়ি,
গোধূলি বেলার রক্তিমতার রক্তপ্রাণ
একটি নিকষ কালো প্রতিবিম্ব
হারানো সেই বাঁশির সুর।
সুরেলা কণ্ঠস্বর! ধীরে ধীরে মিশে যায় দিগন্তে।
যেন এক অন্তিম চাওয়া ঘিরে আছে।


কোথায় চলছি জানি না,
সে যেন ডাকছে আমায় করুণ সুরে,
দিগন্ত থেকে দিগন্ত,
ছাঁয়ার অন্তরালে বেহাগের সুর।
মহাকালের পথে হেঁটে যাচ্ছে সে
নিয়ে একটু অভিমানের এক মহাসাগর তৃষ্ণা।


বিচলিত দুটি আঁখি, বুজে ফেলে আঁচল দিয়ে।
হারানো সেই চিরচেনা রথটি নিয়ে
ছুটে চলে একটি চপলা মেয়ে,
আর কোমল হস্তদ্বয় বাড়িয়ে দেয় শূণ্যতে।
ধরতে ইচ্ছে হয়,
ধরার আগেই শূণ্যে মিলিয়ে যায় সে রথ।


পেছন থেকে হাতে টান পড়ে,
কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে থাকি,
ভাবি আর ভাবি,
কোথায় মিলিয়ে গেল সেই রথটি?
রথটিতে কে ছিল?
তার কণ্ঠস্বর এত পরিচিত লাগল কেন?
সেই সুরটা কেন বা ভেসে আসে?
সুরটাকে কেন এত আপন আপন লাগে?


বারংবার পিছনে তাকাই,
লোহিত আলোয় ভেসে গেছে প্রান্তর।
টকটকে লোহিত সূর্যটা
থালার মতো হয়ে ডুবে যাচ্ছে ক্রমশ।
যদিও আমি ফিরে যেতে চাইছিলাম না,
জোর করে টেনে-
আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ধীরে ধীরে গুটিগুটি পায়ে
আপন নীড়ে চলে আসি।


ক্রমশ দুটি আঁখি বুজে আসে,
দেখি নিকষ কালো অন্ধকার!
কে যেন ডাকছে মোরে?
ঘুমন্ত জনপদে,
মাথা তুলতে পারি না।
শুধু তার রথে বসে শিহরিত হয় সারা দেহ,
ঘুমন্ত সবাই জেগে ওঠেছে,
সাথে আমিও।


এভাবেই চলে যায় দিন
শুধু ভেসে আসে সুর,
চিরচেনা সেই বাঁশির সুর।
চলবে......................